শুক্রবার সন্ধ্যায় টাইম স্কয়ারের এ বিক্ষোভে দুই থেকে তিন হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৮৫০ জন ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
নিউ ইয়র্কের টাইম স্কয়ারের ব্যস্ত রাস্তায় প্রতিবাদকারীদের একটি ঘেরের মধ্যে আটকে রাখতে হিমশিম খায় পুলিশ।
প্রতিবাদকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শন করে ও ইসরায়েলি হামলার নিন্দা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করে। অনেকে ইসরায়েলকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ করার দাবি জানান।
প্রতিবাদকারীরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় স্লোগান দেয় “মুক্ত কর, মুক্ত কর, ফিলিস্তিনকে মুক্ত কর!” এবং “১, ২, ৩, ৪, হত্যা থামাও, যুদ্ধ থামাও!”
তবে কারা এই প্রতিবাদের আয়োজন করেছেন তা জানা যায়নি। কয়েক মাইল দূর থেকে মিছিল করে এরা নগরীর কেন্দ্রস্থলে চলে আসে।
নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা ফিলিস্তিনি-আমেরিকান রামসে জামালি (৩৭) বলেন, “আমরা সামরিক অভিযান ও ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধ করার চেষ্টা করছি। আমরা শুধু চাই তাদের মানুষের মতো বাস করতে দেয়া হোক।”
জামালির কাঁধে তার আট বছরের ছেলে ছিল। মূসা নামে ছেলেটির হাতে ধরা প্ল্যাকাডে লেখা ছিল, “ইসরায়েল, আমি একজন শিশু। অনুগ্রহ করে আমাকে হত্যা করো না।”
এই লেখার পাশে শিশুর রক্তাক্ত হাতের একটি ছাপ ছিল।
গাজা থেকে হামাস যোদ্ধাদের রকেট নিক্ষেপ বন্ধ করার কথা বলে চলতি মাসের প্রথম দিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
শুক্রবার হামাস ও ইসরায়েল উভয়পক্ষ ১২ ঘন্টার একটি মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। শনিবার সকাল ৮টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর শুরু হয়েছে।
কিন্তু যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ইসরায়েলি ট্যাঙ্কের গোলায় গাজার খান ইউনিসের এক পরিবারের ১৮ জন নিহত হয়েছেন বলে এক ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এসব নিযে শনিবার সকাল পর্যন্ত ১৯ দিনের ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৮৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই বেসামরিক মানুষ।
অপরদিকে ইসরায়েলের পক্ষে নিহত হয়েছেন ৩৮ জন, এদের মধ্যে ৩৫ জন সেনা ও তিনজন বেসামরিক।