শুক্রবার এসব কথা জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
দেশটির সুপ্রিম পিপলস প্রসিকিউটরের (এসপিপি) বরাত দিয়ে সিনহুয়া জানিয়েছে, অভিযোগগুলোর মধ্যে ৮৫ ভাগই ছিল ৫০ হাজার ইউয়ান (প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা) বা তারও বেশি অর্থ ঘুষ গ্রহণ বা এক লাখ ইউয়ান তবিল তছরুপের ঘটনা।
এ ধরনের “বড় ঘটনা” ২০১৩ সালের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছর ১৪ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ক্ষমতায় আরোহনকালেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের করের অর্থের অপচয় করছেন বা ব্যক্তিগত সুবিধা নেয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের পেশাগত অবস্থান ব্যবহার করছেন এমন সন্দেহ ঘনিয়ে ওঠার মুখেই শি দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
দুর্নীতি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে বলে সতর্ক করেছেন প্রেসিডেন্ট শি।
অবৈধ অর্থ নিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া কর্মকর্তাদের পেছনেও ধাওয়া করেছে চীন। বছরের প্রথম ছয়মাসে এ রকম ৩২০টি দুর্নীতির অভিযোগ শনাক্ত করে পালিয়ে যাওয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিনহুয়া।
এই অভিযানে ‘রুই-কাতলা’ থেকে শুরু করে ‘চুনোপুটিদের’ও ছাড় না দেয়ার প্রত্যয় জানিয়েছিলেন শি।
এর আওতায় চীনের সামরিক কমিশনের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শু কাইহুসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে দুর্নীতির অভিযোগ গ্রেপ্তার করেছেন তদন্তকারীরা।