আলজেরীয় বিমান বিধ্বস্তে দায়ী দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া

পশ্চিম আফ্রিকার মালিতে এয়ার আলজেরীয় ফ্লাইটটি সম্ভবত দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণেই বিধ্বস্ত হয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 26 July 2014, 07:00 AM
Updated : 26 July 2014, 08:09 AM

শুক্রবার এ সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ফরাসি কর্মকর্তারা।

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এখনও হয়নি বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ।

প্রাথমিকভাবে বিমানটির আরোহী সংখ্যা ১১৬ জন জানানো হলেও বিমানটিতে মোট ১১৮ জন আরোহী ছিলেন বলে এদিন নিশ্চিত করেছেন ফরাসি কর্মকর্তারা।

একই দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট।

এয়ার আলজেরীয় ওই বিমান ফ্লাইট এএইচ৫০১৩ বৃহস্পতিবার সকালে বুরকিনা ফাসো থেকে আলজেরিয়া যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হলে এর ১১৮ জন আরোহীর সবাই নিহত হন।

তদন্তকারীরা উত্তর মালির ওই ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্ত টেনেছেন, ম্যাকডোনাল ডগলাস কোম্পানির নির্মিত এমডি-৮৩ বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে দুটুকরো হয়ে গিয়েছিল।

এর অর্থ হল ওই বিমানটি কোনো হামলার শিকার হয়ে বিধ্বস্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তারা।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ বলেছেন, “ওই এলাকায় থাকা ফরাসি সেনারা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছিল। দুঃখজনকভাবে সেখানে জীবিত কাউকে পাওয়া যায়নি।”

প্রাথমিকভাবে নিহত আরোহীদের মধ্যে ফরাসি নাগরিকের সংখ্যা ৫১ জন বলা হলেও পরে তা ৫৪ জন বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে কয়েকজন দ্বৈত নাগরিকও রয়েছেন।

মালিতে মোতায়েন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ফরাসি, মালীয় ও ডাচ সেনারা বিমান বিধ্বস্তের স্থানটি ঘিরে রেখেছেন। এলাকাটি বুরকিনা ফাসো’র সীমান্তের কাছে আর উত্তর মালির গোসি শহর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে।

শুক্রবার প্রত্যন্ত এই দুর্ঘটনাস্থলটি পরিদর্শনে এসে নিহতদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট ব্লেইজ কমপ্যাওরি।

২০১৩ সালে আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত বিদ্রোহীদের দমনে মালিতে প্রায় ১৬০০ সেনা মোতায়েন করেছিল ফ্রান্স। এদের অধিকাংশই দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর গাওয়ে রয়েছেন।

এই বাহিনীর সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমান বিধ্বস্তের স্থানে বিদ্রোহীদের তৎপরতার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

ফ্লাইট এএইচ৫০১৭’র বিষয়ে মালির উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত শুরু হচ্ছে বলে দেশটির সরকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওঁলাদ জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্সটিতে থাকা ফ্লাইট রেকর্ড উদ্ধার করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ ছোট জায়গায় ছড়িয়ে থাকলেও বিমান বিধ্বস্তের কারণ সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত টানার সময় এখনও হয়নি।

“আবহাওয়াসহ কয়েকটি কারণ অনুমান করা হলেও আমি কোনো সম্ভাবনাকেই বাতিল করছি না,” বলেন তিনি।