বৃহস্পতিবার দিনের প্রথমভাগে দেশটির জোট সরকার থেকে দু’টি দল বেরিয়ে যায়। দল দু’টি নতুন পার্লামেন্ট গঠনের লক্ষ্যে দ্রুত নির্বাচন দেয়ার দাবি জানায়।
দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেনকো সরকার থেকে দু’টি দলের বের হয়ে গিয়ে নতুন নির্বাচনের যে দাবি জানিয়েছে তার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
এই বিষয়টিকে একজন রাজনীতিক সরকার ও পার্লামেন্ট থেকে ‘রাশিয়ার চর’ নির্মূলের পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী আরসেনি ইয়াতসেনিউকের পদত্যাগ দেশটির বর্তমান পরিস্থিতির জন্য একটি বড় ধরনের শূন্যতার সৃষ্টি করবে।
বিশেষ করে দেশটির পূর্বাঞ্চলে রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে অর্থ যোগানোর বিষয় ও মালয়েশীয় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে শূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে।
পার্লামেন্টে ইয়াতসেনিউক দেশটির পাইপলাইন সিস্টেমের ওপর নিয়ন্ত্রণ সহজতর করার ব্যাপারে একটি আইন পাস করতে ব্যর্থ হন।
পদত্যাগ করার আগে পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, রাজনীতিকরা ইউক্রেইনীয় জনগণের সমর্থন হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই ইউক্রেইনীয়রাই ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত হতে চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন, ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, “ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।”
বিক্ষোভে নিহতদের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “লাখ লাখ মানুষ এই বিপ্লব ঘটিয়েছে। আমরা ইউরোপকে বেছে নিতে পারিনি কিন্তু সর্বোচ্চ শত কিংবা হাজার ইউক্রেইনীয় সেটি পেরেছিলেন।”
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মূল ব্যক্তি হচ্ছেন ইয়াতসেনিউক। বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আগ পর্যন্ত তাকেই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে।