বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গণতন্ত্রের ওই দেশের ক্ষমতা নিতে যাওয়া উয়িদোদো নানা কারণে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। অতিসাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা উয়িদোদো কর্মনিষ্ঠা আর দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন পরিচালনার জন্য অল্প সময়ের মধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন। তাছাড়া মেটাল গানের ভক্ত হওয়ার কারণে দেশটির তরুণ সমাজে রয়েছে তার একচ্ছত্র প্রভাব।
দেশটির রাজনীতির দীর্ঘদিনের ধারা ভেঙে এবং প্রভাবশালী অভিজাত শ্রেণির বিরোধিতা টপকে প্রায় ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ৫৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিক।
মূলত জাকার্তার নেতৃত্ব দেয়ার সময়তেই উয়িদোদোর পরিচিতি ইন্দোনেশিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। অপেক্ষাকৃত তরুণ এই নেতার কর্মনিষ্ঠা ও দুর্নীতিমুক্ত শাসনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠদের সমর্থন পান জোকো।
তবে ক্ষমতা গ্রহণের অপেক্ষায় থাকা এই নেতার অরেকটি পরিচয় তাকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রাবোয়া সুবিয়ান্ত থেকে এগিয়ে রেখেছে, তা হচ্ছে মেটাল গানের প্রতি একনিষ্ঠ অনুরাগ আর নিয়মিত মেটাল কনসার্টগুলোতে তার সরব উপস্থিতি। সে কারণে দেশটির তরুণ সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয় উয়িদোদো।
“ওয়াও। একজন মেটালহেড প্রেসিডেন্ট! কে ভাবতে পেরেছে এমন? সত্যিই আনন্দের।”
১৪ বছর বয়স থেকেই মেটাল গানের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত সদ্য জয়ী প্রেসিডেন্ট জোকো। তাকে প্রায়ই ইন্দোনেশিয়ার মেটাল গানের কনসার্টগুলোতে দেখা যেত।
ব্লেইথি তার ওয়েব সাইটে আরো লিখেন, “বিশ্বের প্রথম হেভি মেটাল প্রেসিডেন্ট। ভাবা যায়, তিনিই বিশ্বের প্রথম প্রেসিডেন্ট যার সঙ্গে আড্ডা দেয়া যায়, গানের মান নিয়ে তর্কে জড়ানো যায়।”
জোকা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তিনি মেটাল গানের দল মেটালিকা, নাপাম ডেথ ও লেড জেপিলিন এর চরম ভক্ত। ইন্দোনেশিয়ার সরকার এধরনের গান ও সংস্কৃতিকে বিশেষভাব গুরুত্ব দেবে বলেও জানান জোকো।
মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর অন্যতম দেশ ইন্দোনেশিয়া। ধর্মীয় নিয়ম-নীতিও দেশটিতে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে মানা হয়।
২০১৩ সালে মেটালিকার বেস গিটারিস্ট রবার্ট ট্রুসিলো নিজের অটোগ্রাফ দেয়া একটি গিটার উপহার দিয়েছিলেন উয়িদোদোকে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন সেটি পরে বাজেয়াপ্ত করে।
কারণ ইন্দোনেশিয়ায় ৩৪ ডলারের বেশিমূল্যের কোনো কিছু উপহার দেয়ার বৈধতা নেই।