ইসরায়েলি বিমান ও কামান হামলা থেকে রক্ষা পেতে শত শত ফিলিস্তিনি বেইত হানুন শহরের ওই জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিল। ইসরায়েলি সেনারা এনিয়ে চতুর্থবারের মতো গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত কোনো প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাল।
ইসরায়েলি বেতারে কোনো সূত্রের উল্লেখ না করে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ পরিচালিত ওই স্কুলটিতে নিহতদের বেশিরভাগেই শিশু। তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এ ঘটনার ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা বলেছেন, হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ২শ মানুষ। বেইত হানুনের আশেপাশের মেডিকেল সেন্টারে আহতদের আনা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় হাসপাতালের পরিচালক।
ফিলিস্তিনে গাজার শাসনক্ষমতায় থাকা হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ১৬ দিনব্যাপী অভিযানে ৭২৫ ফিলিস্তিনি এবং ৩০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। নিহত ইসরায়েলিদের অধিকাংশ সেনা সদস্য হলেও গাজায় নিহতদের এক তৃতীয়ংশই সাধারণ নাগরিক বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
হামাসের রকেট হামলা ঠেকানোর কথা বলে গত ৮ জুলাই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। ১০ দিনের বিমান হামলার পর গাজায় বিমান হামলার পাশাপাশি নৌ ও স্থল হামলা শুরু করে তারা।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সহায়তা বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা আমোস বলেছেন, সোয়া লাখের মত মানুষ জাতিসংঘের স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। মানুষজনের খাবার ফুরিয়ে আসছে।পানিরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি খুবই ‘ভয়াবহ’।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেনা অভিযানে ফিলিস্তিনের সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে হতাহতের জন্য বিশেষত হামাসকে দায়ী করেন তিনি।