অবরোধ না তোলা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি নয় : হামাস

গাজার ওপর আরোপ করা ইসরায়েলি অবরোধ তুলে না নেয়া পর্যন্ত লড়াই থামাতে কোনো যুদ্ধবিরতি করা হবে না বলে ঘোষণা করেছেন গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দল হামাসের নেতা খালেদ মেশাল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2014, 09:31 AM
Updated : 24 July 2014, 09:31 AM

মেশাল বলেছেন, শর্ত না মানা পর্যন্ত স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যাবে হামাস।

বুধবার নির্বাসিত হামাস নেতা কাতারে এক সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিজ দলীয় যোদ্ধাদের সাফল্যও দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেছেন, “আগে দাবিগুলোর বিষয়ে একমত হওয়া যাক, তারপর এগুলো বাস্তবায়নের পর আমরা যুদ্ধবিরতির একটি ক্ষণ ঠিক করার জন্য একমত হতে পারবো। অবরোধ তুলে নেয়ার কথা না থাকলে আমরা কোনো প্রস্তাব মেনে নেবো না।”

“আমরা যুদ্ধ চাই না, এটি চলতে থাকুক তাও চাই না, কিন্তু এর মাধ্যমে আমাদের পরাজিত করা যাবে না,” বলেন তিনি।

আটবছর ধরে গাজার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের পাশাপাশি মিশরও অবরোধে সামিল হয়েছে।

এই অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেয়া ছাড়াও মিশরের সঙ্গে থাকা রাফা সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেয়ার এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন মেশাল।

“আমাদের জনগণের ওপর আরোপ করা অবরোধ তুলবে না এবং তাদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করবে না, এমন কোনো উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করবো না,” বলেন তিনি।

তবে তাদের দল মানবিক একটি যুদ্ধবিরতির জন্য “দরজা খোলা” রেখেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আহতদের সরিয়ে নেয়া ও পুনর্বাসন কাজে সহায়তার জন্য কয়েক ঘন্টার শান্ত পরিস্থিতি দরকার।”

গাজায় ওষুধ, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় রসদ পাঠানোর জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

২০০৬ সালে ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে অপহরণ করার পর থেকে গাজার ওপর অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল।

একই বছর ফিলিস্তিনের জাতীয় নির্বাচনে হামাস জয়লাভ করার পর শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিদ্বন্দ্বী দল ফাতাহ’কে হটিয়ে গাজার দখল নিয়ে নিলে ২০০৭ -এ অবরোধ জোরদার করে ইসরায়েল ও মিশর।

চলতি বছর এপ্রিলে ফিলিস্তিনের দুই বিভক্ত রাজনৈতিক শক্তি ফাতাহ ও হামাস, বিভক্তি দূর করে জোটভুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনাকারী ইসরায়েল এ পদক্ষেপ মেনে না নিয়ে নিন্দা জানায়।