গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ

মিশরের রাজধানী কায়রোতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির বৈঠকের মধ্যদিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য অন্তর্জাতিক কূটনৈতিক উদ্যোগ জোরদার হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2014, 08:49 AM
Updated : 22 July 2014, 09:32 AM

ইসরায়েল ও গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দল হামাসের মধ্যে সৃষ্ট সঙ্কটের কূটনৈতিক সমাধান বের করার উদ্যোগে সোমবার কায়রো যান কেরি।

তিনি সেখানে অন্তত বুধবার পর্যন্ত অবস্থান করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অপর দিকে একই উদ্দেশ্যে মধ্যপ্রাচ্য সফরে থাকা জাতিসংঘ মহাসচিব সোমবার কায়রো পৌঁছান।

ওই দিন রাতে কায়রোতে এই দুই বিশ্বনেতার মধ্যে বৈঠক হয়।

এ সময় কেরি জানান, “সৃষ্ট মানবিক সঙ্কট হ্রাস করার” চেষ্টা হিসেবে গাজায় ৪ কোটি ৭০ লাখ ডলারের সহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের হতাহতের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও ইসরায়েলের “যথাযথ ও বৈধ” সামরিক অভিযানের প্রতি মৌন সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

কেরি নিরপরাধ বেসামরিকদের লড়াই থেকে রক্ষার জন্য “একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য” হামাসের প্রতি আহ্বান জানান।

আরব লিগের প্রধান নাবিল আল আরাবিও এর আগে একই ধরনের আহ্বান জানান। লড়াই শেষ করার জন্য দুপক্ষের মিশরীয় প্রস্তাব মেনে নেয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।

গত সপ্তাহে দেয়া মিশরীয় ওই প্রস্তাবটি ইসরায়েল মেনে নিলেও প্রত্যাখ্যান করে হামাস। তাদের মতে, প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হলে তা “আত্মসমর্পণের” সামিল হবে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ “শত্রুতা পরিত্যাগ করে দ্রুত” যুদ্ধবিরতি করার আহ্বান জানালেও আরব রাষ্ট্রগুলোর তৈরি করা কঠোর ভাষার খসড়া প্রস্তাবটি অনুমোদন করেনি।

মঙ্গলবার এ আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করে দ্রুত শর্তহীন যুদ্ধবিরতি করার কথা বলেন বান। এ দিনের পরবর্তী কোনো এক সময় তার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের পথে রওয়ানা হওয়ার কথা রয়েছে।

তিনি হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার বিষয়টিকে সমর্থন করে বলেন, সহিংসতা থেকে সাধারণ গাজাবাসীদের বাঁচাতে ভূখণ্ডটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া উচিত।

এদিকে গাজায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা লড়াইয়ে শেষ পাওয়া খবরে ৬০০ ফিলিস্তিনি ও ২৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।