দক্ষিণ কোরিয়ার পলাতক ফেরি মালিকের লাশ সনাক্ত

এক মাস আগে এক ফল বাগানে পাওয়া একটি লাশকে দক্ষিণ কোরিয়ার ডুবে যাওয়া ফেরি মালিকের লাশ বলে সনাক্ত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

>>রয়টার্স
Published : 22 July 2014, 07:38 AM
Updated : 22 July 2014, 07:38 AM

চলতি বছরের এপ্রিলে ভয়াবহ ওই ফেরি দুর্ঘটনায় ৩ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরীয় পুলিশ জানিয়েছে, ১২ জুন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি ফল বাগান থেকে উদ্ধার করা মৃতদেহের ডিএনএ ও আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে দেহটি পলাতক জাহাজ ব্যবসায়ী ইয়ো বাইয়ুঙ উন’র বলে সনাক্ত করা হয়েছে।

ফল বাগানের পাশের এক বাসিন্দা বাগানে ঘোরাঘুরি করা সময় হঠাৎ মৃতদেহটি দেখতে পায়। এরপর পুলিশে খবর দিলে তারা সেটি উদ্ধার করে।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা উয়ো হাইয়ুঙ হো জানিয়েছেন, মৃতদেহটি উদ্ধারের স্থান থেকে বাইয়ুঙ’র লেখা একটি বই, হাঙরের যকৃতের তেলের একটি খালি বোতল পাওয়া গেছে।

হাঙরের তেলটি বাইয়ুঙদের পারিবারিক কোম্পানির প্রস্তুতকৃত পণ্য।

ঘটনাস্থল থেকে এই দুটি জিনিস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মৃতদেহটির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

বইটি বাইয়ুঙয়ের লেখা এটি প্রথমে তারা বুঝতে পারেননি বলে স্বীকার করেন হো।

ডিএনএ পরীক্ষার ৪০ দিন সময় লাগায় সিদ্ধান্ত নিতে এতো দেরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা।

মৃহদেহ উদ্ধার করা হলেও কবে বাইয়ুঙ’র মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃতদেহটির অধিকাংশ পচে ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল।

ডুবে যাওয়া সেউল ফেরির মালিক বাইয়ুঙ কে ধরতে দুইমাস ধরে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছি।

এটি ছিল ‘এক ব্যক্তিকে ধরার জন্য’ দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় অভিযান।

৭৩ বছর বয়সী বাইয়ুঙয়ের বিরুদ্ধে সম্পদের অপব্যবহার, অবহেলা ও কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে প্রায় ৫ লাখ ডলার পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল দেশটির সরকার।

তাকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

বাইয়ুঙকে ধরতে না পারা দেশটির প্রেসিডেন্ট পার্ক গেয়ুন হি সরকারের জন্য আরেকটি ব্যর্থতা ডেকে আনছিল।

এরআগে ফেরি দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ, যাদের অধিকাংশেই শিশু, নিহত হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয় হি সরকার।