চাল রপ্তানিতে ভারতকে ছাড়িয়ে থাইল্যান্ড

ভারতে মৌসুমী বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে ফলন কমে যাওয়ায় বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশের মর্যাদা আবার ফিরে পেয়েছে থাইল্যান্ড।

>>রয়টার্স
Published : 21 July 2014, 08:20 AM
Updated : 21 July 2014, 08:21 AM

ভারতীয় রপ্তানি কমে যাওয়ায় থাইল্যান্ড ভালো দামে তাদের চাল রপ্তানি করতে পারছে । এর আগে হ্রাসকৃত মূল্যে চাল রপ্তানিতে বাধ্য হচ্ছিল থাইল্যান্ড।

২০১১ সালে থাইল্যান্ডকে হটিয়ে বিশ্ব চালের বাজারের শীর্ষস্থান দখল করেছিল ভারত। তিন বছর ওই স্থান ধরে রাখার পর এবার কম বৃষ্টিপাতের কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় শীর্ষস্থান হারিয়েছে দেশটি।

বাজারে ভারতীয় চালের সরবরাহে প্রাচুর্য থাকার সময়ই থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত ইংলাক সিনাওয়াত্রা সরকার ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে প্রচুর চাল কিনেছিল। পরে ওই চাল কম মূল্যে বিশ্ববাজারে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল তারা।

কিন্তু ওই সরকারকে হটিয়ে থাইল্যান্ডের ক্ষমতা দখল করার কয়েকমাসের মধ্যেই সেনা সরকার ভালো দামে চাল রপ্তানি দারুন সুযোগ পেল।

অবশ্য ক্ষমতা দখলের পর চাল রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল সেনা সরকার। তখন থেকেই চালের মূল্য বাড়তে শুরু করে।

“স্টকে থাকা প্রচুর চাল প্রতিযোগিতামূলক দামে বিক্রি করার ভালো সুযোগ পেয়েছে থাইল্যান্ড,” বলেন ব্যাংককের এক চাল ব্যবসায়ী।

পরিস্থিতির সুযোগ নিতে আসছে অগাস্ট থেকে প্রতিমাসে ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টন চাল রপ্তানি করার পরিকল্পনা নিয়েছে থাই সরকার। এই হারে রপ্তানি করতে থাকলেও দেশটির হাতে মজুদ থাকা ১ কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টন চাল রপ্তানি করতে প্রায় তিন বছর লাগবে।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক এক চাল ব্যবসীয় বলেন, “ভারতীয় সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ কেটে যাওয়ার পর তৈরি হওয়া চাহিদার বিপরীতে থাইল্যান্ডের চাল উচ্চমূল্যে বিক্রি করা যাবে। বাড়তি এই মূল্য তাদের লোকসান কমাতে ভূমিকা রাখবে।”

দেশটি বছরের প্রথম দিকে ‘ফ্রি অন বোর্ড’ ভিত্তিতে ৫ শতাংশ ভাঙ্গা চালযুক্ত প্রতিটন চাল ৩৬০ ডলারে বিক্রি করছে, এখন সেই চালই (কিছুটা পুরনো) প্রতি টন ৩৯৫ ডলার দাম হাঁকছে।

তবে ইংলাক সরকার কৃষকদের কাছ থেকে চাষ করা, ভাঙ্গানো ও পরিশোধন এবং গুদামজাত করা বাবদ টন প্রতি ৬৮০ ডলারে চাল কিনেছিল, তাই এই দাম পাওয়ার পরও থাই সরকারকে লোকসান গুনতে হবে।

কম বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের চাল রপ্তানি কমে যাওয়ায় চলতি বছর থাইল্যান্ড এক কোটি টন চাল রপ্তানি করতে পারার আশা করছে বলে জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।