এমএইচ১৭: লাশ ‘সরিয়ে ফেলছে’ বিদ্রোহীরা

২৯৮ জন আরোহীসহ ভূপাতিত মালয়েশিয়ার বিমানটির আলামত রুশপন্থি বিদ্রোহীরা নষ্ট করে দিচ্ছে। উদ্ধার করা সব মৃতদেহই তারা সরিয়ে ফেলছে বলে দোষারোপ করেছে ইউক্রেইন সরকার।

>>রয়টার্স
Published : 20 July 2014, 02:27 PM
Updated : 20 July 2014, 04:50 PM

ওদিকে, মস্কোকে আরো বিচ্ছিন্নতার মুখে পড়া এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে যুক্তরাজ্য।

বিমানের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে থাকা এলাকা থেকে জরুরি সেবা কর্মীদের উদ্ধার করা ১৯৬ টি মৃতদেহ রোববার সকালে নিয়ে গেছে বিদ্রোহীরা। ইউক্রেইনের জরুরি সেবা বিভাগ একথা জানিয়েছে।

ইউক্রেইনের জরুরি সেবা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রোববার বলেছেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীরা চাপের মুখে কাজ করছে এবং লাশগুলো সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছে।

রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী এক নেতা বিমানের একটি খণ্ডাংশ খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এটি বিমানের ব্ল্যাকবক্স বলে মনে করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি বিদ্রোহীদের হাতে রয়েছে।

রুশপন্থি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ওই অঞ্চলে মৃতদেহগুলোর দুর্দশা নিয়ে পশ্চিমাদের ক্ষোভ বাড়ছে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত তোরেজ শহরে ট্রেনে তোলা হয়েছে প্রায় ২শ’ লাশ।

শহরটির রেলস্টেশনে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “তারা রাতভর এ মৃতদেহগুলো এখানে নিয়ে এসেছে”। ওদিকে, ঊর্ধ্বতন এক বিদ্রোহী কর্মকর্তা সের্গেই কাভতারাজ বলেছেন, মৃতদেহগুলো কি করা হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নিয়ে সেগুলো কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে না।

রাশিয়া মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ১৭ ফ্লাইট ভূপাতিত হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে এর জন্য ইউক্রেইনের সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে।

কিন্তু ওয়াশিংটন ও এর মিত্রদেশগুলো এ ঘটনার জন্য ইউক্রেইনে রাশিয়ার মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিকেই আঙুল তুলেছে। ঘটনাস্থলে ঢুকতে না দেয়ার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দোষারোপ করেছে তারা।

বিমান বিধ্বস্ত এলাকায় নিরাপদে প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তে সহযোগিতা করতে রাশিয়া বিদ্রোহীদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করলে মস্কো আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হামন্ড।