নিষ্কৃতি-মৃত্যুর স্বীকৃতি চান ডেসমন্ড টুটু

মারাত্মক অসুস্থ হয়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা মানুষকে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে নিষ্কৃতি মৃত্যু স্বীকৃতি পাওয়া উচিত বলেই মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2014, 03:20 PM
Updated : 14 July 2014, 03:20 PM

‘দ্য অবজার্ভার’ পত্রিকার একটি প্রবন্ধে তিনি জীবনের পবিত্রতাকে শ্রদ্ধা জানালেও যে কোনো মূল্যে তা দীর্ঘায়িত করার বিপক্ষে বক্তব্য রাখেন তিনি।

নেলসন ম্যান্ডেলার জীবনের শেষ দিনগুলোতে জীবনী শক্তি ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও একাধিক জটিল, যন্ত্রণাময় পদ্ধতিতে যান্ত্রিক ভাবে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল তাকে। বন্ধু নেলসনের এ যন্ত্রণা মেনে নিতে পারেননি টুটু।

আর তাই তিনি বলেন, জীবনের মতো মৃত্যুর ক্ষেত্রেও সমান মর্যাদা থাকা উচিত। স্বীকৃতি পাওয়া উচিত নিষ্কৃতি-মৃত্যু।

টুটু আরো বলেন, “আমি জানি মৃত্যুতে সহযোগিতা করার পক্ষে আমার মতামত অনেক মানুষই মেনে নিতে পারবে না। কিন্তু আমি বলব এ মৃত্যুতে আমার আপত্তি নেই”।

ক্যাঁতারবেরির সাবেক আর্চবিশপ লর্ড ক্যারিও নিষ্কৃতি মৃত্যুর বিরোধিতা পরিহার করে এ মৃত্যুকে সমর্তন দেয়ার পর টুটু এমন মন্তব্য করলেন।

ক্যারি এর আগে ‘দ্য ডেইলি মেইলে’ নিস্কৃতি মৃত্যুর বিরোধিতা করা থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছিলেন। অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য এ মুত্যুকে সমর্থন দেন তিনি। তার এ মত নিয়ে শুক্রবার হাউজ অব লর্ডসে বিতর্ক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

যুক্তরাজ্যে ১৯৬১ সালের আইনানুযায়ী, কাউকে মৃত্যুতে সহযোগিতা করা কিংবা আত্মহত্যা করতে উৎসাহিত কিংবা সহায়তা করা অপরাধ হিসাবে গণ্য। এ ধরনের কাজ কেউ করলে তার ১৪ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

নিস্কৃতি মৃত্যু বৈধ করার চেষ্টা বেশ কয়েকবার চললেও এর সবই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

তবে বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ এবং নেদারল্যান্ডস এর মতো দেশগুলোতে নিষ্কৃতি-মৃত্যুকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য আইন চালু হয়েছে। ফ্রান্সও অনেক বিরোধিতার মুখেও একইধরনের একটি আইন চালুর কথা ভাবছে।