‘ওষুধে মৃত্যুপথযাত্রীর যন্ত্রণা কমানো জরুরি’

মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের যন্ত্রণা লাঘব করা “জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি” হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 June 2014, 09:17 AM
Updated : 3 June 2014, 09:17 AM

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০১২ সালে বিশ্বের ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রণা ভোগ করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এসব মানুষের অধিকাংশই উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাসিন্দা।

কয়েকটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইথিওপিয়ার ক্যান্সার রোগীরা যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচতে চলন্ত ট্রাকের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

দ্য ওয়াল্ডওয়াইড প্যালিয়্যাটিভ কেয়ার অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, এই সঙ্কটের আংশিক কারণ হল রোগীদের যন্ত্রণা লাঘবে ব্যাথানাশক (যেমন, মরফিন) ব্যবহার করতে দিতে সরকারগুলোর অস্বীকৃতি।

এসব ওষুধে রোগীদের আসক্ত হয়ে পড়ার অতিরিক্ত আশঙ্কা থেকেই এমনটি করা হচ্ছে বলে সংস্থাটির বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।

মে মাসে বিশ্বের ২০০ দেশ থেকে আসা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জাতিসংঘে মিলিত হয়ে যন্ত্রণা লাঘবে চিকিৎসা দেয়াকে অধিক গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ওই বৈঠকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রথমবারের মতো এই বিষয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বিষয়টিকে সমর্থন করে।

উগান্ডার বেটি নাইগা (৪৮) স্তন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। দুই বছর আগে তার ক্যান্সার ধরা পড়লেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারেননি।

স্তনে টিউমার বড় হয়ে ফুটবলের মতো হয়ে যাওয়ার পর উগান্ডার এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের কলাবাগানের ভেতরে কুঁড়েঘরে মাটিতে শুয়ে মারাত্মক যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিলেন তিনি।

প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় এক সামাজিক স্বাস্থ্যকর্মী তার খোঁজ পেয়ে তাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। হাসপাতালে ভর্তির পর নাইগাকে বিনা খরচে কেমোথেরাপি দেয়া হয় ও যন্ত্রণা কমাতে শক্তিশালী ব্যাথানাশক মরফিন দেয়া হয়।

মরফিন পাউডার ও পানি মিশিয়ে তাকে খাওয়ানো হলে ভয়াবহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান তিনি।

এ বিষয়ে নাইগা বলেন, “আমি ঘুমাতে পারতাম না। আমি কিছুই করতে পারতাম না। প্রচণ্ড যন্ত্রণা হতো। আমি জীবন দিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। আমি মরে যেতে চেয়েছিলাম।”

“কিন্তু চিকিৎসার পর আমার জীবন পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়ে গেছে। ওষুধগুলো আমার কষ্ট কমিয়ে দিয়েছে।”