সম্প্রতি আদালতের রায় ঘোষণা করে বিচারক বলেন, “আপনাকে নিজ ধর্মে ফিরে আসার জন্য তিনদিন সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু আপনি ফিরে আসেনি। তাই আপনাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিচ্ছি।”
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আদালতের ওই রায়ের নিন্দা জানিয়েছে। এছাড়া খার্তুমে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতরা রায়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দুই বছরের মধ্যে ওই নারীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হবে না। সন্তান সম্ভবা ওই নারী সন্তান প্রসবের পরই কেবল শাস্তির জন্য বিবেচিত হবেন।
আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ সুদানে ইসলামি শরিয়া আইন কার্যকর আছে। শরিয়া আইনে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
খ্রিস্টান পুরুষকে বিয়ে করায় ওই বিয়ে বৈধ হয়নি এবং তাতে অবৈধ যৌনাচার হয়েছে বলেও রায় দেয় আদালত। আর এই অপরাধে তার ১০০ বেত্রাঘাত শাস্তি হয়। তবে সব শাস্তিই কার্যকর করা হবে সন্তান প্রসবের পর।