শুক্রবার মারা যাওয়া ওই সাতজনসহ ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ার পর থেকে গত দুই বছরে দেশটিতে মোট ১শ’ ৩৩ জন মৃত্যুবরণ করেছে, আর আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৪৭৩ জনে পৌঁছেছে, জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়।
জেদ্দা ও রিয়াদের হাসপাতাল থেকে ব্যাপকভাবে সংক্রমণটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এপ্রিল মাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয় এবং মে মাসে এরই মধ্যে সংক্রমণ ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
হজ্বের মওসুমের আগে দেশটিতে প্রাণঘাতী এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ ওই সময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মুসলিম হজ্ব পালানের উদ্দেশ্যে মক্কায় এসে জমায়েত হবেন। তাদের মাধ্যমে এই ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের সংক্রমণ আগেই শনাক্ত করা হয়েছিল।
নতুন যে দশজনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে পাঁচজন রাজধানী রিয়াদের, চারজন জেদ্দার এবং একজন তায়িফের বাসিন্দা। এদের মধ্যে একজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
মার্স ভাইরাস সার্স (সিভার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাসের মতোই একটি করোনা ভাইরাস। ২০০২ সালে চীনে সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ভাইরাসটির আক্রমণে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮শ’ লোকের মৃত্যু হয়।
এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলে আক্রান্ত ব্যক্তি কাশি, জ্বর ও নিউমেনিয়ায় ভূগতে পারেন। এই ভাইরাস সংক্রমেণ বিরুদ্ধে কার্যকরী কোনো ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা নেই।