পারিবারিক কলহ অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়

বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে অবিরাম ঝগড়াঝাটি মধ্য বয়সে মানুষের মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন ড্যানিশ গবেষকরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 May 2014, 04:23 PM
Updated : 9 May 2014, 04:23 PM

ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৩৬ থেকে ৫২ বছর বয়সী ৯ হাজার ৮৭৫ জন নারী-পুরুষের ওপর এ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

কাছের লোকজনের সঙ্গে অবিরাম ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকলে অকালমৃত্যুর ঝুঁকি দুই থেকে তিনগুন বেড়ে যায় বলে দাবি করেন গবেষকরা। তবে এর কারণ কি তার ব্যাখ্যা পুরোপুরি দিতে পারেননি তারা।

‘এপিডেমিওলোজি অ্যান্ড কম্যুনিটি হেলথ’ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে গবেষকরা বলেন, যারা কাজকর্ম করেন না তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া, উদ্বেগ এবং পরিবারের সদস্যদের নানারকম দাবিদাওয়ার চাপের কারণেও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে।

মানসিক চাপের কারণে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে মৃত্যুঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ঘন ঘন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুগলে কিংবা বাবা-মা অথবা সন্তানদের নানা বায়না মেটানোর চাপে থাকলে তা অন্য যে কোনো কারণের চেয়ে মৃত্যুঝুঁকি ৫০ থেকে একশত ভাগ বাড়িয়ে দিতে পারে।

যাদের কোনো কাজকর্ম নেই তাদের ক্ষেত্রে কলহপূর্ণ সামাজিক সম্পর্ক বেশি নেতিবাচক ফল বয়ে আনে। এদিকে থেকে চাকরিজীবীদের তুলনায় বেকারদের ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।

এর আগে এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, অতিমাত্রায় দুশ্চিন্তা, বাবা-মা ও সন্তানদের কাছ থেকে আসা বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার চাপ এবং পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে অবিরাম বিরোধ হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

আর সমাজের লোকজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং বিশাল সংখ্যক বন্ধুত্বের বহর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে- এমনটিও দেখা গেছে আগের নানা গবেষণায়।