উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করে ৬০ কোটি ভারতীয়

বিশ্বে একশ কোটি মানুষ এখনো উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করে যা কলেরা, ডায়রিয়া এবং হেপাটাইটিসের মতো মারাত্মক রোগ বিস্তারের অন্যতম কারণ।জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 May 2014, 01:53 PM
Updated : 9 May 2014, 04:26 PM

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, খোলা জায়গায় মলত্যাগের অভ্যাস সবচেয়ে বেশি ভারতের নাগরিকদের।

দেশটির ৬০ কোটির বেশি মানুষ এ কাজে অভ্যস্ত। সরকার স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার তৈরির জন্য শত শত কোটি ডলার ব্যয় করেও পরিস্থিতি খুব বেশি বদলাতে পারেনি।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম খোলা জায়গায় পয়ঃনিষ্কাশন প্রবণতা দূর করতে পেরেছে। ৯০ এর দশকে যেখানে এই দু’দেশে প্রতি তিন জনের একজন খোলা জায়গায় মলত্যাগ করত, ২০১২ সালে এসে সেই অভ্যাস প্রায় নেই বললেই চলে।

স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট তৈরি করে খোলা জায়গায় মলত্যাগের অভ্যাস বন্ধের জন্য শত শত কোটি ডলার খরচ করা হলেও উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার জন্য ভারতের সমালোচনা করা হয় প্রতিবেদনে।

ইউনিসেফের বিশেষজ্ঞ রলফ লায়েনডিক বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট সুবিধা তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের কৌশল যেখানে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে, এর বিপরীতে প্রতিবেশী ভারতের কৌশল ছিল খুবই দুর্বল।

তিনি বলেন, দরিদ্রদের কাছে স্যানিটেশন সুবিধা পৌঁছে দেয়ার জন্য ভারত সরকার শ’ শ’ কোটি ডলার খরচ করেছে সত্য। কিন্তু এই অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে দেয়ার পর বিভিন্ন রাজ্যে তা ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যয় করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ অর্থ আর দরিদ্র জনগোষ্ঠী পর্যন্ত পৌঁছায়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পরিচালক মারিয়া নিরা বলেন, “ভারতের যে চিত্র দেখে সবাই ধাক্কা খান তা হল একজন মানুষ এক হাতে মোবাইল ফোন নিয়ে খোলা জায়গায় মলত্যাগ করছে।”

ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, সাব সাহারা আফ্রিকার ২৬টি দেশেও এখনো খোলা জায়গায় মলত্যাগের অভ্যাস বাড়ছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নাইজেরিয়ার। দেশটির প্রায় চার কোটি মানুষ এখনো উন্মুক্ত জায়গায় মলত্যাগ করে।