রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু বলেছেন, ইউক্রেইনের কমান্ডো বাহিনী স্লোভিয়ানস্কে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটিতে অভিযান নামায় মস্কো এর পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেইনকে ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে শাসিয়েছিলেন।
কেন্দ্রীয় সরকারকে উপেক্ষা করে পূর্ব ইউক্রেইনের ৯ টিরও বেশি শহরের মূল সরকারি ভবনগুলো দখলে নিয়ে রেখেছে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোইগুর উদ্ধৃতি দিয়ে ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা বলেছে, “সামরিক অভিযান বন্ধ না হলে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে আমরা এর জবাব দিতে বাধ্য হচ্ছি”।
বিবিসি জানায়, মহড়া চলবে রাশিয়ার দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক এলাকাগুলোতে। সোইগু বলেন, বিমানবাহিনী রাষ্ট্রের সীমান্ত এলাকা বরাবর প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নেবে। ওদিকে, স্থানীয় দুই বাসিন্দা আকাশে জঙ্গি হেলিকপ্টারও উড়তে দেখার কথা জানিয়েছে।
ইউক্রেইনের সীমান্তে যেখানে রাশিয়া হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে সে জায়গাটিতেই শুরু হয়েছে এ নতুন মহড়া।
ইউক্রেইনের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ওলেস্কান্দর তুর্কিনোভ রাশিয়াকে সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে ‘ব্ল্যাকমেইলের’ অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে কিয়েভ রাশিয়াপন্থি সন্ত্রাসীদের কাছে মাথা নত করবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি দ্রুতই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন।