যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় থাকা হামাসের সঙ্গে আব্বাসের ফাতাহ বুধবার ঐক্য চুক্তি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে।
এখন থেকে ৫ সপ্তাহের মধ্যে ঐক্য সরকার প্রতিষ্ঠা করাসহ ফিলিস্তিনি পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের পরবর্তী ছয়মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা চলবে। ঐক্য সরকার গঠন করা নিয়ে আলোচনা করতেও রাজি হয়েছে দুই পক্ষ।
হামাস যে সমস্ত শর্ত উপেক্ষা করে আসছে সেগুলোর তালিকা তুলে ধরে মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, “যে কোনো ফিলিস্তিন সরকারকেই প্রকাশ্যে সহিংসতা পরিহারের প্রতিশ্রুতি দেয়াসহ ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া এবং অতীতে দুপক্ষের মধ্যে হওয়া সব চুক্তি ও বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে”।
“নতুন ফিলিস্তিন সরকার গঠিত হলে আমরা এর নীতিমালা কর্মকাণ্ড এবং উপরোক্ত ওই বিষয়গুলো মেনে চলার ভিত্তিতেই তার মূল্যায়ন করব। আর যুক্তরাষ্ট্রের আইনানুযায়ীই ফিলিস্তিন সরকারকে সাহায্য দেয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে”।
ফিলিস্তিনের হামাস ও ফাতাহ’র মধ্যে দীর্ঘদিনের চেষ্টায় ঐক্য সরকার গড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও হামাস যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকায় থাকার কারণে সাহায্য কমানোর চিন্তা করতে পারে ওয়াশিংটন।
২০০৭ সালে হামাস এবং ফাতাহ রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর থেকে দু দলের সম্প্রীতির উদ্যোগ এটিই প্রথম না হলেও দুপক্ষের মধ্যকার ঐক্য চুক্তি এ পর্যন্ত কখনোই বাস্তবায়িত হয়নি।
বিভক্তির পর থেকে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আব্বাসের ফাতাহ’র হাতে। আর গাজার শাসনক্ষমতায় আছে হামাস।