ফেরি দুর্ঘটনার খবর জানানো কোরীয় কিশোরের লাশ উদ্ধার

কাঁপা কাঁপা গলায় প্রথম যে কিশোরটি কোরীয় ফেরি দুর্ঘটনার খবর জানিয়েছিল তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় ৫শ’ যাত্রীসহ অতিরিক্ত মালবোঝাই ফেরিটি উল্টে যাওয়ার পরপরই অগ্নিনির্বাপণে ফোন করে উদ্ধারের আবেদন জানিয়েছিল কিশোরটি।

>>রয়টার্স
Published : 24 April 2014, 09:44 AM
Updated : 24 April 2014, 09:44 AM

বৃহস্পতিবার ডুবে যাওয়া জাহাজের ভিতর থেকে কিশোরটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

“আমাদের বাঁচান! আমরা একটি জাহাজে আছি, আমার মনে হচ্ছে জাহাজটি ডুবে যাচ্ছে,” দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি থেকে আসা এটিই প্রথম সাহায্য চেয়ে পাঠানো বার্তা। কাঁপা গলায় কিশোর তাদের বাঁচানোর আর্তি জানিয়েছিল। কিন্তু জাহাজটির ১৭৪ জনকে বাঁচানো গেলেও সেই কিশোরটিকে বাঁচানো যায়নি।

অগ্নিনির্বাপন কর্মীরা ফোনটি জাহাজের ক্যাপ্টেনকে দিতে বললে বিভ্রান্ত কিশোরটি উত্তর দিয়েছিল, “তুমি কি টিচারকে দিতে বলছো?”

কোরীয় ভাষায় “ক্যাপ্টেন” ও “টিচার” শব্দের উচ্চারণ প্রায় কাছাকাছি হওয়ার কিশোরটি বিভ্রান্ত হয়েছিল।

ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে কিশোরটির পরিচয় তখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা না গেলেও প্রাথমিকভাবে তার পিতামাতা তাদের সন্তানের লাশ শনাক্ত করেছেন বলে জানিয়েছে কোরীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

১৬ এপ্রিল সংঘটিত এই দুর্ঘটনায় ৩শ’রও বেশি মানুষ মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের অধিকাংশই ডানওন নামের একটি হাই স্কুলের ছাত্র।

সেওল নামের প্রায় ৭ হাজার টনের জাহাজটি রাজধানী সিউলের উপকণ্ঠের বন্দর ইনচেওন থেকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় পর্যটন দ্বীপ জেজুতে যাচ্ছিল। যান্ত্রিক ত্রুটি ও তা সামল দিতে ক্রুদের ব্যর্থতায় বিশাল ফেরিটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায় বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা।

জাহাজটিতে ক্রুসহ ৪৭৬ জন যাত্রী ছিল। এদের মধ্যে ৩৩৯ জন ছিল ডানওন স্কুলের ছাত্র ও তাদের সঙ্গে যাওয়া শিক্ষক।