পাকিস্তানজুড়ে তালেবাসসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী হামলা-সহিংসতার ঘটনা বাড়িয়ে দেয়ার জবাবে দুই মাস পর প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার এই আকাশ হামলা চালানো হয় বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সরকার বেশ কয়েকবছর ধরে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে লড়াইরত তালেবান গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে।
ইতোমধ্যে এই শান্তি আলোচনার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো অস্ত্রবিরতিও পালন করেছে। আর পাক সরকারও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তালেবান সদস্যকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু তারপরও শান্তি আলোচনা সাফল্যের মুখ দেখেনি। আর এরই জেরে দেশটিতে পুনরায় জঙ্গি হামলা বেড়ে যায় যার জবাব দেয়া শুরু করেছে দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনীসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
সেনা বাহিনীর গণসংযোগ শাখা থেকে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানায়, ‘খাইবার এজেন্সিতে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানা ধ্বংসের লক্ষ্যে ভোরে (বৃহস্পতিবার) সমরবিমানগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।’
ওই বার্তায় আরো বলা হয়, সম্প্রতি ইসলামাবাদ ও পেশোয়ারে পুলিশ ও বেসামরিক মানুষের ওপর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হামলার জবাবে এই আকাশ হামলা চালানো হয়। ওই দুটি শহরের অবস্থানই খাইবার নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলের কাছাকাছি।
পেশোয়ারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোরে এই অভিযান শুরু হয়েছে এবং তা চলবে।
তিনি আরো বলেন, “আকাশ হামলার পর সেনাবাহিনীর পদাতিক শাখার সদস্যরা ওই অঞ্চলে অভিযান শুরু করবে।”
অপর এক সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে ১৫ জঙ্গি এই হামলায় নিহত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।