পুতিনের সঙ্গে শান্তি, উগ্রবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চান ব্লেয়ার

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেছেন, পশ্চিমা বিশ্বের উচিত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বিরোধে না জড়িয়ে বরং ইসলামি উগ্রবাদের হুমকি মোকাবেলায় যুদ্ধে নামা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2014, 05:28 PM
Updated : 23 April 2014, 05:28 PM

ইউক্রেইন সঙ্কট নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের উত্তেজনার মধ্যে লন্ডনের ব্লুমবার্গে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় ব্লেয়ার একথা বলেন। মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে লড়তে মিশর সরকারকে সমর্থন দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

বক্তৃতায় ব্লেয়ার বলেন, “আমাদের মতবিরোধ অন্যান্য যা নিয়েই হোক না কেন ইসলামি চরমপন্থা মোকাবেলা করতে হলে প্রাচ্যের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় বসা এবং সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত, বিশেষত রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে”।

উগ্রবাদ রুখে দাঁড়ানোই বিশ্ব রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিশ্বায়নের এ যুগে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সম্ভাবনা নস্যাৎকারী শক্তির মুখোমুখি হতে পশ্চিমা বিশ্বের বহু দেশরই অদ্ভুতরকমের অনীহা আছে এবং ইরাক ও আফগানিস্তানে আগ্রাসনের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপ করার ইচ্ছাটাও পশ্চিমাদের হ্রাস পেয়েছে বলে স্বীকার করেন ব্লেয়ার। তারপরও এ অঞ্চলে পশ্চিমা বিশ্বকে সক্রিয়ভাবে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানান তিনি।

বক্তৃতার আগে বিবিসি’কে মধ্যপ্রাচ্য দূত হিসাবে কাজ করা অবসরপ্রাপ্ত এ রাজনীতিক বলেন, “সিরিয়ায় কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার জন্য পশ্চিমাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে”।

সিরিয়ায় দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ থামার এখনো কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। জাতিসংঘ, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু উদ্যোগ নিলেও মূলত: যুদ্ধ থামাতে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতায় ছাড় দেয়ার মানসিকতা দেখায়নি কোনো পক্ষই। বিশ্বশক্তিগুলোর অবিবেচানপ্রসূতি এ ধরনের মতবিরোধের বিষয়ে সতর্ক করেছেন ব্লেয়ার।

বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে ‘মুক্তমনা’ পক্ষগুলোর পেছনে শক্তি যোগানোরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

একইসঙ্গে পশ্চিমা নেতাদেরকে ইসলামি চরমপন্থার বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কর্মপরিকল্পনায় আনার পরামর্শ দিয়ে ব্লেয়ার বলেন, অন্যান্য বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও এ বিষয়ে চীন, রাশিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, “চরমপন্থা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার বিকৃত ও ক্ষতিকারক রূপ। বিশ্বব্যাপী তা ছড়িয়ে পড়ছে। এটি সমাজ, জাতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। আর আমরা এ হুমকির মুখে নিস্পৃহ হয়ে বসে আছি”।