রাহুল-মোদির ‘হেলিকপ্টার গণতন্ত্র’র সমালোচনায় কেজরিওয়াল

বিজেপি ও কংগ্রেস নেতারা ‘হেলিকপ্টার গণতন্ত্র’ চর্চা করছেন বলে সমালোচনা করে এর বিপরীতে নিজেকে একজন সৎ বিকল্প প্রার্থী হিসেবে বারানসির মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন ভারতের আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2014, 02:17 PM
Updated : 23 April 2014, 03:58 PM

মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে অভিজাততন্ত্রের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে সাধারণ জনতার একজন হিসেবে জনগণের সমর্থন চান তিনি।

বুধবার উত্তর প্রদেশের বারানসিতে একাধিক সভা শেষে ওই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন কেজরিওয়াল। যিনি রাজনীতিতে নামার প্রথম ধাপেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়ে চমক সৃষ্টি করেছিলেন।

বারানসির ওই আসন থেকে বৃহস্পতিবার ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির মনোনয়নপত্র দাখিলের কথা রয়েছে।

বুধবার উত্তর প্রদেশের জনসমাবেশগুলোতে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস নেতাদের বিপুল অর্থ ব্যয়েরও সমালোচনা করেন কেজরিওয়াল।

মোদি ও রাহুলকে উদ্দেশ্য করে দুর্নীতি বিরোধী নবীন এই রাজনীতিবিদ বলেন, “আমি শুনেছি মোদি নির্বাচনে পাঁচ হাজার কোটি রুপি খরচ করেছেন। আর রাহুল উড়িয়েছেন দশ হাজার কোটি রুপি। এগুলো তাদের কালো টাকা। যারা নির্বাচনে এতো বিশাল অংকের টাকা খরচ করেন তারা জেতার পর সাধারণ মানুষের পকেট থেকে নিয়ে পাঁচ লাখ কোটি রুপি বানাবেন।”

“এ ধরনের গণতন্ত্রের পরিবর্তন আসা জরুরি। আমাদেরকে প্রকৃত মানুষের গণতন্ত্র (আসলি জনতা কা জনতন্ত্র) ফিরিয়ে আনতে হবে। আমার পকেটে আছে মাত্র ৫০০ রুপি। আমি তো ফকির। আমার খরচ করার কিছু নেই। আপনাদের সহযোগিতা নিয়েই কেবল আমি নির্বাচনে লড়ছি,” বলেন কেজরিওয়াল।

ক্ষমতাসীন কংগ্রস দলীয় নেতা রাহুল ও বিরোধী দলীয় নেতা নরেন্দ্র মোদি ‘হেলিকপ্টার গণতন্ত্রের’ চর্চা করছেন বলে সমালোচনা করে কেজরিওয়াল বলেন, জনতা তাদের নেতাকে দেখে না; দেখে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে।

অসমের নগাঁওয়ে শনিবার রাহুল গান্ধির সভা শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক পরেই আকাশে চক্কর মারতে শুরু করে নরেন্দ্র মোদির হেলিকপ্টার।

আমেথির মানুষ বলে, রাহুল পাঁচ বছরে একবার নির্বাচন উপলক্ষে হেলিকপ্টারে সেখানে যান। বৃহস্পতিবার মোদিও বারানসিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে মহাত্মা গান্ধীর কাশি বিদ্যাপীঠে যাবেন হেলিকপ্টারে চড়ে।

কেজরিওয়াল বলেন, তারা জনগণের কাছ থেকে এতো দূরে থেকে কিভাবে জনগণের দুঃখ-কষ্ট বুঝবে।
এখন কাশির জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা কী ধরনের গণতন্ত্র চায়। তারা হেলিকপ্টার গণতন্ত্র চায় নাকি এমন একজনকে চায় যে গ্রামে-গ্রামে, মহল্লায়-মহল্লায় গিয়ে সবার খোঁজ খবর নেয়।