অস্তিত্বের হুমকির মুখে থাকা পাখির এই প্রজাতিটি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী একটি সংরক্ষিত প্রজাতি।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের চাগাই বনাঞ্চলে রাজকীয় অতিথি এসব পাখি শিকারের সময় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ শিকারও করেছেন বলে সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য ডন।
চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ দিন বেলুচিস্তানের দালবাদিন এলাকায় ছিলেন সৌদি আরবের তাবুকের গভর্নর এই যুবরাজ। তাকে এই কাজে সহায়তা করেছেন বেলুচিস্তান বন ও বন্যপ্রাণী বিভাগের দালবাদিন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জাফর বালুচ।
যুবরাজ ফাহাদ একাই মেরেছেন ১৯৭৭টি পাখি, আর তার সঙ্গীরা মেরেছেন বাকি ১২৩টি পাখি। যুবরাজের এসব সঙ্গীরা স্থানীয় ব্যক্তি বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী পাকিস্তানেও এই পাখি শিকার করা নিষিদ্ধ। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের রাজকীয় অতিথির জন্য পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিশেষ অনুমতি ইস্যু করে পাখিগুলো মারার সুযোগ করে দেয়।
অনুমতিতে কারা শিকার করতে পারবেন তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছিল এবং এই অনুমতির সুযোগ নির্দিষ্ট ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কেউ গ্রহণ করতে পারবেন না বলে নির্দেশনা জারি করা ছিল। অনুমোদিত এলাকায় ১০ দিনে মোট ১০০টি হউবারা বাস্টার্ড শিকারের অনুমতি পেয়েছিলেন তারা।
এই অনুমোদনে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শিকার করার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।
কিন্তু ২১ দিনের সফরে যুবরাজ ১৫ দিন ধরে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ওই পাখি শিকার করে বেড়ান। অন্যান্য এলাকায় আরো ছয়দিন ধরে শিকার করে পরবর্তী দুদিন বিশ্রাম নেন তিনি।