ফেরিডুবি: নাবিকদের আচরণ ‘হত্যার শামিল’

ডুবে যাওয়া ফেরির ক্যাপ্টেন ও নাবিকদের কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই বলেছেন, ‘তাদের আচরণ হত্যার শামিল’।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2014, 09:44 AM
Updated : 21 April 2014, 09:44 AM

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ফেরিটি ডুবে যাওয়ার সময় ক্যাপ্টেনসহ কয়েকজন নাবিক যাত্রীদের ফেলে রেখেই ফেরি ছেড়ে চলে যায়। নাবিকদের এ আচরণকে মানুষ হত্যার শামিল বলে নিন্দা করেন পার্ক।

তিনি বলেন, “সর্বোপরি কমনসেন্সের দিক থেকে ক্যাপ্টেন এবং নাবিকদের এ ধরনের আচরণ গুরুতর ব্যাপার। এটি খুন করার শামিল। এ আচরণ কোনোভাবেই সহ্য করা যায় না”। সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠককালে পার্কের উদ্ধৃতি দিয়ে ইয়োনহাপ বার্তাসংস্থা একথা জানায়।

দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ফেরির ক্যাপ্টেন লি জুন-সেওক এবং দুজন ক্রু সদস্যকে অভিযুক্ত করার পর সোমবার ফেরিটির আরো ৪ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা না করতে না পারার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের নিকটবর্তী বন্দর ইনচিওন থেকে রওয়ানা হওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে ফেরিটি কাত হয়ে ডুবে যায়। এ সময় ফেরিতে প্রায় ৫শ’ যাত্রী ছিল।

যাত্রীদের নিয়ে দক্ষিণের পর্যটন দ্বীপ জেজু যাচ্ছিল ফেরিটি। যাত্রীদের অধিকাংশই একটি হাইস্কুলের শিক্ষার্থী ছিল।

ডুবে যাওয়ার আগে ফেরিটির নাবিকদের মধ্যে আতঙ্ক এবং সিদ্ধান্তহীনতা কাজ করছিল বলে নতুন তথ্য বেরিয়ে এসেছে ফেরির ক্রুদের সঙ্গে কোস্টগার্ডদের সর্বশেষ কথোপকথনের প্রকাশিত অনুলিপি থেকে।

রেকর্ডকৃত সেই কথোপকথনে দেখা গেছে, একজন নাবিক বারবার জানতে চাচ্ছিলেন, ফেরি ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হলে আশেপাশে উদ্ধার করার মতো কোন জাহাজ আছে কিনা।

ফেরির ক্যাপ্টেন জানিয়েছেন, ফেরি খালি করার কথা বলার পর যাত্রীরা পানিতে ভেসে যেতে পারে এই ভয়ে তিনি দেরী করেছিলেন।

তদন্তে দেখা গেছে, ফেরি যখন ডুবতে শুরু করে তখন ক্যাপ্টেন লি সেখানে ছিলেন না। ফেরিটি চালাচ্ছিল অন্য এক আনাড়ি চালক।

ডুবে যাওয়া ফেরিটি থেকে এ পর্যন্ত আরো লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৬৪ জনে। ২৩৮ জন এখনো নিখোঁজ।