ফেরিটি সম্পূর্ণভাবে ডুবে যাওয়ায় ডুবুরিদের সাহায্যেই উদ্ধার কাজ চালাতে হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনাস্থলে তীব্র স্রোত ও ঘোলা পানির কারণে অভিযান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের নিকটবর্তী বন্দর ইনচিওন থেকে রওয়ানা হওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে ফেরিটি কাত হয়ে ডুবে যায়। এ সময় ফেরিটিতে প্রায় ৫শ’ যাত্রী ছিলেন।
যাত্রীদের নিয়ে দক্ষিণের পর্যটন দ্বীপ জেজু যাচ্ছিল ফেরিটি। যাত্রীদের অধিকাংশই একটি হাইস্কুলের কিশোর বয়সী ছাত্র ছিল।
দুর্ঘটনার পর ১৭৪ জনকে উদ্ধার কারা গেলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে ২৭০ জন। উদ্ধারকারীরা ৩২ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। নিখোঁজদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে।
এদিকে নিহতদের লাশ শনাক্তকরণ সহজ করতে ডিএনএ নমুন জমা দেয়া শুরু করেছেন স্বজনরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান সিন উন-নাম জবাবে বলেন, এক মাসের বেশি সময় লাগতে পারে।
“এ বিষয়ে নিশ্চিত করে আমরা কিছুই বলতে পারছিনা। বিশেষজ্ঞা আমাদের জানিয়েছেন উদ্ধারকাজ শেষ করতে এক থেকে দুই মাসও লেগে যেতে পারে।”