ডুবে যাওয়া ফেরির ক্যাপ্টেনকে গ্রেপ্তারের আবেদন

দক্ষিণ কোরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরির ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছেন দেশটির সরকারি কৌঁসুলিরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2014, 04:23 PM
Updated : 18 April 2014, 04:34 PM

দক্ষিণ কোরিয়ায় দুইদিন আগে প্রায় ৫শ’ মানুষ নিয়ে ফেরিটি দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর আরোহীদের রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা নেয়া হয়েছিল কিনা তা নিয়ে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনার সময় কে ফেরিটি চালাচ্ছিল তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সংশয়।

জাহাজটি ডুবে যাওয়ার সময় ক্যাপ্টেনের পরিবর্তে একজন অধস্তন কর্মকর্তা এটি চালাচ্ছিলেন বলে ধরা পড়ার পর আবেদনটি জানানো হল। খামখেয়ালি এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ফেরির ক্যাপ্টেন লি জন সেওককে এরই মধ্যে জেরা করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তও চলছে।

সরকারি কৌঁসুলিরা ফেরির ক্যাপ্টেন ছাড়াও অপর দুই ক্রু সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ চেয়েছেন।

কোস্টগার্ড কর্মকর্তা ম্যাকপো সাংবাদিকদের বলেন, “পুলিশ ও কৌঁসুলিদের যৌথ তদন্তদলের সদস্যরা জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ তিন ক্রুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছেন”।

ক্যাপ্টেন লি জন সেওককে পুলিশ জেরা করার পর বৃহস্পতিবার তাকে টিভিতে ফেরি দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে ক্ষমাও চাইতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেওল নামের ফেরিটি দক্ষিণ কোরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর ইনচিওন থেকে রওনা হয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় পর্যটন দ্বীপ জেজুতে যাচ্ছিল। যাত্রা পথে বাইউঙ্গপুঙ দ্বীপের উপকূলের কাছে এটি উল্টে যায় এবং দুই ঘণ্টার মধ্যেই ডুবে যায়।

নিখোঁজ ২৬৮ যাত্রীকে ফিরে পেতে সাগরে তল্লাশি চলছে। তবে তীব্র স্রোত,বাতাসের তীব্রতার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত ১৭৯ জনকে জীবন্ত উদ্ধার করা গেছে। এছাড়া, লাশ পাওয়া গেছে ২৯ জনের। উপকূলরক্ষীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুই ডুবুরীকে জাহাজের অভ্যন্তরে পাঠানো গেছে। তবে বাধা-বিঘ্নের কারণে এখন পর্যন্ত কাউকেই উদ্ধার করা যায়নি।

ফেরিটি কাত হয়ে ডুবে যেতে শুরু করার আগে হঠাৎ করে এটির দিক পরিবর্তন করা হয়েছিল বলে জানা গেছে তদন্তে। এর কারণ নিয়ে এখন অনুসন্ধান চলছে। তাছাড়া, নাবিকরা যাত্রীদেরকে আত্মরক্ষার কোনো নির্দেশনা দিয়েছিলেন কিনা তাও খুঁজে দেখা হচ্ছে।

আকস্মিকভাবে গাতিপথ পরিবর্তনের কারণে সেওলের মতো একটি বড় জাহাজ অবস্থানচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছেন। তবে শক্ত কোনো বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা লেগেও দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলেও অনেকের ধারণা।