বুধবার ফেরিডুবির পর তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে বন্দরনগরী জিন্দোতে একটি জিমের বাইরে গাছের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখা যায় তাকে। পুলিশ শুক্রবার একথা জানিয়েছে।
জিন্দোতে জড়ো হয়েছে ফেরি দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের স্বজনরা। নিখোঁজ ২৬৮ জনের বেশির ভাগই হাই স্কুলের শিক্ষার্থী। সময় গড়িয়ে যেতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে তাদের খোঁজ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে আসছে।
বৃহস্পতিবার থেকেই ৫২ বছর বয়সী কাং মিন-জিউ এর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তাকে বেল্ট দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে গাছে ঝুলতে দেখা যায়।
পুলিশ বলছে, কাং আত্মহত্যা করার আগে কোনো চিরকুট লিখে যাননি। কাং এর এক সহকর্মী তার নিখোঁজ হওয়ার খবর দেয়ার পর পুলিশ তাকে খুঁজতে শুরু করে।
কাং এর আত্মহত্যার আগে ফেরির যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে ৪৭৫ আরোহীর মধ্যে সরকারিভাবে ২৮ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। উদ্ধার পেয়েছে ১৭৯ জন। এখন পর্যন্ত নিখোঁজদের বেশির ভাগই সিউলের উপকণ্ঠে অবস্থিত ডানওন হাই স্কুলের শিক্ষার্থী। তারা ছুটি কাটাতে ভ্রমণে বেরিয়েছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফেরিটি পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর ইনচিওন থেকে রওনা হয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় পর্যটন দ্বীপ জেজুতে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে বাইউঙ্গপুঙ দ্বীপের উপকূলে ফেরিটি ডুবে যায়।
জিন্দোর উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফেরিটি যেখানে ডুবেছে সেখানে কোরীয় উপকূলের মধ্যে অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী স্রোত সক্রিয় রয়েছে। এতে সব প্রস্তুতি নিয়েও দিনের কয়েক ঘন্টা প্রায় ডুবে যাওয়া ফেরিটিতে উদ্ধারকাজ চালানো বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ফেরি দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।