তার পরিবারের বরাতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এ খবর নিশ্চিত করেছে।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
মার্কেজের পারিবারির মুখপাত্র ফার্নান্দা ফ্যামিলিয়ার এক ট্যুইটারবার্তায় লিখেছেন, “গ্যাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ মারা গেছেন।”
“তার স্ত্রী মার্সেদেস, তাদের ছেলে সন্তান রদরিগো ও গনজালেস আমাকে এই দুঃখজনক সংবাদ জানানোর দায়িত্ব দিয়েছেন”- যোগ করেন ফ্যামিলিয়ার।
সর্বশেষ ৩১ মার্চ তাকে মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাগ্রহণ শেষে সম্প্রতি অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসাগ্রহণকালে হাসপাতালের মুখপাত্র জ্যাকুলিন পিনেদা জানিয়েছিলেন, বয়সজনিত কারণে তিনি প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তিনি আরো বলেছিলেন “বয়সের কারণে তিনি অনেক দুর্বল। তবে এ সময় তিনি বাড়িতেই ভাল থাকবেন।”
ফুসফুস ও মূত্রনালীতে সংক্রমণের কারণে ৮৭ বছর বয়সী এই প্রভাবশালী লেখককে ম্যাক্সিকো সিটির হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাদুবাস্তবতার ঘোর সৃষ্টিকারী এই কথাশিল্পীকে খুব কমই প্রকাশ্যে দেখা গেছে। মেক্সিকোয় বসবাসকারী এই লেখক বেশ কয়েকবছর ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
১৯৬৭ সালের এই উপন্যাসটি বিশ্বব্যাপী ৩ কোটিরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।
মার্কেজ ৩০ বছর ধরে মেক্সিকোতে বসবাস করছিলেন।
দুই বছর আগে মার্কেজের ভাই জাইম গার্সিয়া মার্কেজ জানিয়েছিলেন, গ্যাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ ক্রমেই স্মৃতিশক্তি হারাচ্ছেন।
তখন জাইম বলেছিলেন, তার ৮৫ বছর (বর্তমানে ৮৭ বছর) বয়সী ভাই গ্যাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ খুব মামুলি বিষয় জানার জন্য তাকে বার বার ফোন করেন। এমন কি তার স্মৃতিশক্তিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
১৯৮২ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারজয়ী মার্কেজের স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে- এমন ধারণা বেশ অনেকদিন ধরেই চলছিল। তবে তার ভাইয়ের দাবির মধ্যদিয়ে মার্কেজের ব্যাপারে প্রথম পরিবারের পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছিল।