পূর্ব ইউক্রেইনের মারিউপোল শহরের সেনা ঘাঁটিতে সংঘর্ষে তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহতের ঘটনার পর রাশিয়া টিভি’তে সরাসরি সম্প্রচারিত এক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে পুতিন একথা বলেন।
তিনি বলেন, “ইউক্রেইন সরকার নিজেদের ভুল বুঝতে না পেরে এবং সংলাপের চেষ্টা না করে বরং আরো শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিচ্ছে.... এর মধ্য দিয়ে কিয়েভের বর্তমান নেতারা আরেক মারাত্মক অপরাধ করছেন”।
“আশা করি তারা গহ্বরে তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অনুধাবন করতে সক্ষম। বর্তমান (ইউক্রেইন) কর্তৃপক্ষ যে অতল গহ্বরে পড়েছে এবং দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে তা তারা বুঝতে পারবে”।
ইউক্রেইনে মস্কোর শক্তি প্রয়োগের প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, ইউক্রেইনের অভ্যন্তরে সেনা পাঠানোর ‘অধিকার’ রাশিয়ার আছে। কিন্তু সে অধিকার ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না বলেই তিনি আশা করেন।
চলমান সংকট সংলাপের মাধ্যমে সমাধান হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পুতিন।
ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোর সরকারি ভবনগুলো বর্তমানে দখল করে আছে রুশ-পন্থী অস্ত্রধারীরা। পশ্চিমাদের অভিযোগ, এসব অস্ত্রধারীকে সহযোগিতা দিচ্ছে রাশিয়া।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট পুতিন এ অভিযোগ ‘অর্থহীন’ উল্লেখ করে বলেছেন, “ রাশিয়ার ফেডারেশন কাউন্সিল প্রেসিডেন্টকে ইউক্রেইনে সামরিক শক্তি প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। তবে আমি সত্যিই আশা করছি সে শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন হবে না এবং রাজনৈতিক উপায়ে সংলাপের মাধ্যমে চলমান সমস্যার সমাধান করা যাবে।”