তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়াতে চান এরদোয়ান

তুরস্কে আগামী অগাস্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সরাসরি অংশ নেয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান; যিনি এর আগে টানা তিনবার পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছিলেন।

>>রয়টার্স
Published : 17 April 2014, 04:18 PM
Updated : 17 April 2014, 04:18 PM

প্রায় এক দশক ধরে তুরস্ক শাসন করা এই নেতার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। টুইটার, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে যুবসমাজের বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি।

তুরস্কের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টায় থাকা এরদোয়ানের এ অভিপ্রায় দেশটির রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সম্প্রতি এরদোয়ানের দল ‘জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি’র (একেপি) বৈঠকে এ নিয়ে গোপনে ভোটাভুটি হয়। এতে তার প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়ানোর পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় আসে।

এতে করে দলের ভেতর এরদোয়ানের যে সমর্থন আছে তা পরীক্ষিত হয়েছে এবং তিনি পার্টির নেতার পদ থেকেও পদত্যাগ করতে পারেন। তবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থিতার ব্যাপারে এরদোয়ান এককভাবেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তার সহযোগীরা।

তুরস্কে ক্ষমতাসীন একে পার্টির একাধিক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর আদালতের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এছাড়া, অর্থ পাচার নিয়ে নিজের ছেলের সঙ্গে এরদোয়ানের একটি টেলিফোন আলাপের অডিও দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে আছে।

সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনায় রাজপথে চলা বিক্ষোভ দমাতে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করায় এরদোয়ান সরকারের সমালোচনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা বিশ্ব।

বৃহস্পতিবার একেপি’র এক শীর্ষ নেতা রয়টার্সকে বলেন, “তিন শতাধিক নেতার ওই বৈঠকে অধিকাংশ সদস্য এরদোয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার পক্ষে রায় দিয়েছে। তবে কিছু নেতা এর বিপক্ষে রায় দিয়েছে।”

ওদিকে, নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানালেও এরদোয়ান বলেন, জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারলে সাংবিধানিক ক্ষমতার পূর্ণ প্রয়োগ ঘটাবেন।

তুরস্কের দৈনিক ‘হারিয়েত ডেইলি’ নিউজের খবরে বলা হয়, বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে নিজ দলের পার্লামেন্ট সদস্যদের মনোভাব জানতে চান এরদোয়ান। এ সময় সাংবিধানিক ক্ষমতার পূর্ণ প্রয়োগের ঘোষণা দেন তিনি।

“আমি যদি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে যাই, তবে আমি হব জনগণের প্রেসিডেন্ট। তখন আমি আমার সাংবিধানিক ক্ষমতার পূর্ণ প্রয়োগ ঘটাব,” বলেন এরদোয়ান।