এমএইচ৩৭০: তৃতীয় ধাপের সাবমেরিন অভিযানও শেষ

নিখোঁজ মালয়েশিয়ান বিমান তল্লাশি অভিযানে তৃতীয় ধাপের কাজ শেষ করেছে মিনি-সাবমেরিন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2014, 03:06 PM
Updated : 17 April 2014, 03:06 PM

দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের তলদেশে এর আগে চালানো দুটি অনুসন্ধান অভিযান কারিগরি সমস্যার কারণে সংক্ষেপ করতে হয়েছিল।

আগের দুই ধাপের যাত্রায় তেমন কোনো অগ্রগতি আসেনি। তবে বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া তৃতীয় ধাপের টানা ১৬ ঘণ্টার অভিযাত্রা থেকে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করা হচ্ছে বলে বিবিসি’র খবরে জানানো হয়েছে।

সাগরতলেন যে অঞ্চলে নিখোঁজ বিমানের ব্ল্যাকবক্সের সম্ভাব্য অবস্থানের ধারণা পাওয়া গিয়েছিল সেই এলাকাকেই বিশেষ সাবমেরিন অভিযানের ক্ষেত্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

ডুবোড্রোন ব্যবহার করেও চলছে তল্লাশি। গভীর সাগরে ড্রোনের তোলা ছবি থেকে খুব শিগগিরিই বিমানটির শেষ অবস্থান কোথায় ছিল তা জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ব্লুফিন-২১ রোবোট সাবমেরিন সাগরের ২ হাজার কিলোমিটার নিচের পুরো স্ক্যান শেষ করার পর প্রাপ্ত তথ্য বিচার-বিশ্লেষণের ভিত্তিতে অনুসন্ধান এলাকার পরিসর আরো কমিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ।

এ মাসে সাগরের তলদেশ থেকে বেশ কয়েকটি পিং সঙ্কেতের ভিত্তিতে অনুসন্ধান কাজ দ্রুত এগিয়েছে। তবে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এ ধরনের আর কোনো সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে না। বিমানটির ব্ল্যাক বক্সের ব্যাটারিও ফুরিয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে এখন ব্লুফিন ড্রোনের ওপর নির্ভর করেই চলছে তল্লাশি।

গত ৮ মার্চ ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে উড্ডয়নের এক ঘণ্টা পর মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটি নিখোঁজ হয়। কুয়ালালামপুর বিমান বন্দর থেকে চীনের বেইজিংয়ের উদ্দেশ্য যাচ্ছিল বিমানটি।

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র তীরবর্তী পার্থ শহরের পশ্চিমে ভারত মহাসাগরে বিমানের সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষ দেখা গিয়েছিল স্যাটেলাইট থেকে। তবে সরাসারি তল্লাশিতে সেই ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি।

ভিয়েতনাম উপসাগরের কাছাকাছি এলাকা থেকে নিখোঁজ বিমানটি কিভাবে হাজার মাইল দক্ষিণে যেতে পারলো তারও কোনো সদুত্তর বের করতে পারিনি অনুসন্ধান বিশেষজ্ঞরা।