পূর্ব ইউক্রেইনে সংঘর্ষে নিহত ৩

ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় একটি শহরে ইউক্রেইনীয় জাতীয় রক্ষীদের একটি ঘাঁটিতে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হামলা চালিয়েছে। এ হামলা-সংঘর্ষে তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ।

>>রয়টার্স
Published : 17 April 2014, 09:23 AM
Updated : 17 April 2014, 09:23 AM

বুধবার রাতে প্রায় ৩শ’ বিচ্ছিন্নতাবাদী মারিউপল এর জাতীয় রক্ষীদের ঘাঁটিতে হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন ইউক্রেইনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্সেন আভাকভ।

হামলার সময় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বন্দুক ও পেট্রল বোমা ব্যবহার করে বলে জানিয়েছেন তিনি। জবাবে রক্ষীরা পাল্টা গুলি ছুঁড়লে তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত ও ১৩ জন আহত হন।

সংঘর্ষে কোনো রক্ষী আহত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, “ঘাঁটিটিতে হামলার উগ্র ধরন দেখে সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি দলকে ওমেগা স্পেশাল ফোর্স সরবরাহ করে শক্তিশালী করা হয়। সেখানে হেলিকপ্টারও পাঠানো হয়েছে,” বলেন আভাকভ।

৬ এপ্রিল থেকে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পূর্ব ইউক্রেইনের ১০টি শহরের সরকারি ভবনগুলো দখল করে রেখেছে। ওই ভবনগুলো রুশপন্থীদের দখল মুক্ত করতে অভিযান শুরু করলেও ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী সংঘর্ষ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টাই করছে।

কারণ রাশিয়া বলেছে, তার সমর্থকদের রক্ষার জন্য সেনা ব্যবহার করার অধিকার তার আছে। তাই য়ে কোনো ধরনের রক্তক্ষয়কে রাশিয়া সেনা অভিযান চালানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বলে শঙ্কিত হয়ে আছে কিয়েভ।

বুধবার ইউক্রেইনের ছত্রীসেনাদের একটি সাঁজোয়া বহর দখলকৃত পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলো মুক্ত করতে গিয়ে বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হয়। রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের কয়েকটি সাঁজোয়া যানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং বাকীগুলোকে স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ করে রাখে। এ সময় সেনাদের রাইফেলের পিন ছিনিয়ে নিয়ে সেনাদের ফিরে যেতে বাধ্য করে তারা।

বৃহস্পতিবার ইউক্রেইনের চলমান সংকট নিয়ে সুইজারল্যান্ডে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়েছেন রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেইনের কূটনীতিকরা। কিন্তু আগেরদিন রাতের এই রক্তপাত বৈঠকটিতে বিরুপ প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমনিতেই ঠাণ্ডা লড়াইয়ের পর পূর্ব-পশ্চিম দ্বন্দ্বে নতুন মাত্রা যোগ করা ইউক্রেইনের সঙ্কট নিয়ে এই বৈঠক উল্লেখযোগ্য কোনো ফলাফল বয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছিল না। তারমধ্যে রক্তপাতে রুশপন্থীদের মৃত্যুতে এই আলোচনা নিস্ফল হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।