যুক্তরাষ্ট্রে হামলার হুমকি ইয়েমেনি আল কায়েদার

যুক্তরাষ্ট্রে হামলার হুমকি দিয়ে নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে আল কায়েদার ইয়েমেন শাখা; যাতে কিছুদিন আগে কারাগার থেকে জঙ্গি সংগঠনটির পালিয়ে আসা বন্দিদেরকে দেখা গেছে।

>>রয়টার্স
Published : 16 April 2014, 03:49 PM
Updated : 16 April 2014, 03:49 PM

ভিডিওতে ইয়েমেনের আল কায়েদা শাখার নেতা নাসের আল উহাইশিকে বলতে শোনা যায়, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, আমরা একটি বড় শক্তির বিরুদ্ধে অনবরত যুদ্ধ করে যাচ্ছি। ক্রুশ এবং ক্রুশের পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্রকে মুছে ফেলতে হবে।”

গত মার্চে প্রকাশ করা প্রায় ১৫ মিনিটের এ ভিডিওতে আরো দেখা গেছে, জেল ভেঙে পালিয়ে আসা বন্দিদেরকে সতীর্থরা উল্লাসের সঙ্গে বরণ করে নিচ্ছে।

তবে ভিডিওটি’র সত্যতা নিরপেক্ষ সূত্রে যাচাই করে দেখা সম্ভব হয়নি।

গত ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনের রাজধানী সানার কেন্দ্রীয় কারাগারে গ্রেনেড ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে জঙ্গি তৎপরতার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ২৯ বন্দিকে মুক্ত করে নিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা।

ভিডিওতে জেলভেঙে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের অভিজ্ঞতাও প্রচার করা হয়। “আমরা ঠিক করলাম যে, জেল ভাঙতে আমাদের প্রয়োজন ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেড। পরিকল্পনা মতো একটি কাজ করা হয়ে গেল”।– বলেন এক জেল পলাতক জঙ্গি।

জঙ্গিদেরকে ফলের জুস পান করাসহ গান গাইতে, সাদা পিকআপে চড়ে উল্লাস করতে এবং দলনেতা ওহাইশিকে অভিনন্দন জানাতেও দেখা যায় ভিডিওতে।

স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল রাজ্জাক আল জামাল বলেন, এটি ইয়েমেনে কয়েক বছরের মধ্যে আল কায়েদার বড় সমাবেশ।

তিনি রয়টার্সকে বলেন, “ভিডিওটিতে চারশ’র মতো লোক দেখা গেছে। অবশ্য সবাইকে আল কায়েদার সদস্য মনে হয়নি। ইয়েমেনে আল কায়েদার শক্তি নতুন করে বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে এই ভিডিও।”

২০০৯ সালে গঠিত হওয়া ‘আল কয়েদা ইন এরাবিয়ান পেনিনসুলা’ (একিউএপি) গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটিতে পর্যটক, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে জঙ্গি সংগঠনটি। ইয়েমেনের কিছু অঞ্চলে তাদের শক্তিশালী দখলও আছে।

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় আল কয়েদার অনেক সন্দেহভাজন নেতা নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বংশোদ্ভূত নেতা আনওয়ার আল আওলাকিও রয়েছেন।