সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা, জানিয়েছে এনডিটিভি।
সোমবার সকালে দেশটির রাজধানী আবুজার উপকণ্ঠে ভয়াবহ বোমা হামলায় ৭৫ জন নিগত হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিপুল সংখ্যক ছাত্রী অপহরণের ঘটনাটি ঘটলো।
সোমবার সূর্যাস্তের পর চিবোক এলাকার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টিতে চড়াও হয় জঙ্গিরা। তারা স্কুলটির পাহারায় থাকা সেনা ও পুলিশদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে । এর আগে স্কুলটির কয়েকটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
রাজ্যের প্রধান শহর মাইদুগুরিতে পালিয়ে আসা চিবোকের এক শিক্ষা কর্মকর্তা ইমানুয়েল স্যাম জানিয়েছেন, ব্যাপক অস্ত্রে সজ্জিত জঙ্গীদের হামলার মুখে টিকতে না পেরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পিঁছু হটলে স্কুলটির দখল নেয় জঙ্গিরা।
তারপর স্কুল ছাত্রীদের জোর করে ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছেন, জঙ্গিরা একশরও বেশি ছাত্রীকে ধরে নিয়ে গেছে। ঘটনার জন্য তিনি বোকো হারামকে দায়ী করেন।
উগ্রপন্থী গোষ্ঠি বোকো হারামের নামের অর্থই “পশ্চিমা শিক্ষা হারাম।”
“আমরা ট্রাকটির গতিপথ অনুসরণ করে গভীর জঙ্গলের মধ্যে পরিত্যক্ত ভাঙা অবস্থায় ট্রাকটি পেয়েছি,” বলেন তিনি।
“অপহৃত মেয়েদের কোথায় নেয়া হয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি আমরা,” বলেন তিনি।
অপহৃতদের মধ্যে কয়েকটি মেয়ে রাতের অন্ধকারে ট্রাক থেকে লাফিয়ে পড়ে চিবোকে ফিরে এসেছেন। এদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, একটি ট্রাক ভেঙে গেলে বহরের বাকী অংশ থেকে সেটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, তখন পালিয়ে আসার সুযোগ পান তারা।
এর আগে বোকো হারাম জঙ্গিরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালালেও এই প্রথম বিপুল সংখ্যক ছাত্রীকে অপহরণ করল।
বোকো হারামের এসব সন্ত্রাসী তৎপরতা আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ার নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। জঙ্গি গোষ্ঠিটি দেশটির প্রত্যন্ত এলাকায় বড় ধরনের হামলা যেমন চালাতে পারে তেমনি দেশটির প্রধান শহরগুলোতেও ভয়াবহ বোমা হামলা চালানোর সক্ষমতা দেখিয়েছে।