বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে অস্ত্রসমর্পণের জন্য বেধে দেয়া সময়সীমার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, দখল হওয়া সরকারি ভবনগুলোতে হামলা চালানোর জন্য এখনো কিয়েভ বাহিনীর প্রস্তুতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
তবে ইউক্রেইনের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ওলেস্কান্দর তুর্কিনোভ বেশ জোরের সঙ্গেই বলছেন, দেশের পূর্বাঞ্চলে ‘সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান’ শুরু হয়েছে।
পার্লামেন্টে তুর্কিনোভ বলেন, “রোববার প্রথম হামলার ঘোষণা দেয়ার পর এখন শেষ পর্যন্ত তা শুরু হয়েছে। ডোনেস্কের উত্তরে রাতে এ অভিযান শুরু হয়। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে এবং ধাপে ধাপে তা চলবে।আমি আরো একবার বলছি, ইউক্রেইনের নাগরিকদের রক্ষা করাই এ অভিযানের উদ্দেশ্য।
ওদিকে, আরো রক্তক্ষয় এড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়ে একে অপরেরর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রোববার কিয়েভ স্লোভিয়ানস্ক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলমুক্ত করার চেষ্টা চালানোর সময় অন্তত দুইজন ন্হিত হয়।
এ ঘটনার পর রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ ফেইসবুকের পাতায় এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ইউক্রেইনে আরো একবার রক্তপাত ঘটেছে। দেশটি গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে”।
ক্রিমিয়া বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর পূর্ব ইউক্রেইনে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতার উস্কে দেয়ার জন্য রাশিয়াকে দোষারোপ করে আসছে কিয়েভ। তবে মস্কো এর জন্য কিয়েভকে পাল্টা দোষারোপ করে বলছে, রুশভাষী নাগরিকদের স্বার্থকে উপেক্ষা করে কিয়েভ এ সঙ্কট তৈরি করেছে।