সোমবার রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক তিন মিনিটের ভাষণে সোনিয়া এ আহ্বান জানান।
বিরল এ সরাসরি আবেদনে সোনিয়া অভিযোগ করেন, বিজেপি “ঘৃণা ও অসত্য”র মাধ্যমে সাধারণ নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্ত্বাধীন এনডিএ জোট একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে, এনডিটিভির সর্বশেষ জরিপের ফলাফলে এমন আভাস দেয়ার পর সোনিয়ার ভাষণটি প্রচার করা হয়। প্রাইম টাইমে ভারতের হিন্দি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ভাষণটি সম্প্রচার করা হয়।
ভাষণে সোনিয়া বলেন, “তাদের প্রতিশ্রুতি, অসত্য ও ঘৃণার মেঘে আচ্ছন্ন, তাদের আদর্শ, বিদ্বেষ ছড়ানোর স্বৈরাচারি আদর্শ, এগুলো আমাদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।”
এনডিটিভি’র জরিপে দেখা গেছে, লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এ যাবৎকালের সবচেয়ে বিপর্যকর ফলাফল করতে যাচ্ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ৬৭ বছর বয়সী সোনিয়া কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারণায় কেন্দ্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। এর আগে এক সপ্তাহ ধরে এই প্রচারণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন সোনিয়ার ছেলে ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার রাহুল গান্ধি।
সোনিয়ার এই ভাষণকে “বেপরোয়া হয়ে দেয়া বিদায়ী ভাষণ” বলে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। সোনিয়া প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে কঠিণ নিগড়ে বেঁধে রাখতেন বলে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের এক মন্ত্রী তার লেখা বইয়ে উল্লেখ করার পর তার পুরো সদ্বব্যবহার করছে বিরোধী দল বিজেপি।
“তিনি জনগণের ক্ষমতায়ন করতে চান অথচ প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা দেননি,” বলেছেন বিজেপি’র মুখপাত্র প্রকাশ জাভাদেকার।