‘বেআইনি শিকার ও বন্যপ্রাণীর চোরা ব্যবসা শরিয়ত বিরোধী’

বেআইনি শিকার ও বন্যপ্রাণীর চোরাচালানকে শরিয়ত বিরোধী বলে ফতোয়া জারি করেছে ইন্দোনেশিয়ার ইসলাম ধর্মীয় সর্বোচ্চ পরিষদ।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 March 2014, 10:35 AM
Updated : 8 March 2014, 10:35 AM

ধর্মীয় এই আদেশে ইন্দোনেশিয়ার বিপন্ন প্রাণীগুলোকে রক্ষা, তাদের আবাসভূমি সংরক্ষণ ও এসব প্রাণী নিয়ে অবৈধ বাণিজ্য রোধ করার কথা বলা হয়েছে, জানিয়েছে বিবিসি।

ধর্মীয় পরিষদের এক মুখপাত্র বলেছেন, “লোকজন সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে পার পেয়ে যেতে পারে কিন্তু আল্লাহর আদেশ থেকে পার পাবে না।”

এই ফতোয়াটি ইন্দোনেশিয়ার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের সহযোগী আদেশ হিসেবে কাজ করবে।

ইন্দোনেশিয়ায় অনেকগুলো বিপন্ন প্রাণীর আবাস আছে। এগুলোর মধ্যে ওরাং-ওটাং, বাঘ ও এশীয় হাতি উল্লেখযোগ্য।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষক চ্যারিটি ডব্লিউডব্লিউএফ এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে এটিকে বিশ্বের প্রথম এ ধরনের ফতোয়া বলে উল্লেখ করেছে। বন্যপ্রাণী রক্ষায় ধর্মের এ ধরনের ব্যবহারকে একটি ভালো পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছে চ্যারিটি।

ইন্দোনেশিয়ার বন্যপ্রাণীর আবাস বনগুলো কাঠ আহরণ, কৃষিকাজ ও নগরায়ণের কারণে ক্রম বিলুপ্তির পথে। উলামা কাউন্সিলের ফতোয়ায় দেশটির মুসলিমদের বন্যপ্রাণী ও তাদের আবাসস্থল রক্ষা করার জন্য বলা হয়েছে।

বিপন্ন বা বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী শিকার ও এদের নিয়ে বাণিজ্য করা ইসলামে নিষিদ্ধ ও এটি অনৈতিক বলে ফতোয়ায় বলা হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার আইন অনুযায়ী এই ফতোয়া মানার কোনো বাধ্যবাধকতা থাকলেও দেশটির ২০ কোটি মুসলিমরা এটি পালনে একটি নৈতিক দায়িত্ব বোধ করবে বলে মনে করছেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদীরা।

ইন্দোনেশিয়ার আইনানুযায়ী বন্যাপ্রাণীর বেআইনি শিকার ও বাণিজ্য দণ্ডনীয় অপরাধ।