সস্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইয়েল স্কুল অব মেডিসিন’ এর একদল গবেষক ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য দিয়েছেন। গবেষকরা বলছেন, গর্ভবতী ইঁদুরের খাদ্যাভ্যাস ইঁদুর ছানার মস্তিষ্কের (মগজ) কাঠামো পরিবর্তন করে দেয়।
মানবদেহের সঙ্গেও এর সাদৃশ্য বা সম্পর্ক রয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের বেশি চর্বিযুক্ত খাবার কিংবা কম পুষ্টিকর খাবার না খেয়ে সুষম খাবার খাওয়াটাই এদিক থেকে ভাল। নতুন গবেষণা সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
বিবিসি জানায়, গর্ভবতীদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে করা গবেষণাটি সেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
এতে দেখা যায়, অধিক চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া ইঁদুরছানাগুলোর মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামক অংশ পরিবর্তিত হয়ে যায়। দেহের বিপাক বা বর্ধনে হাইপোথ্যালামাসের মূল ভূমিকা থাকে।
এ ধরনের ইঁদুর ছানাগুলো অপেক্ষাকৃত বেশি ওজনের হয়ে থাকে। সাধারণ খাদ্যাভ্যাসে থাকা ইঁদুর ছানাদের চেয়ে এদের টাইপ-২ ডায়বেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে।
গবেষক দলের সদস্য অধ্যাপক থমাস হারবেথ বিবিসি’কে বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি দেহতত্ত্বের এ ধরনের মৌলিক পরিবর্তন মানুষের ক্ষেত্রেও কার্যকর। শিশুরা কিভাবে ধীরে ধীরে মুটিয়ে যায় তা এ থেকে বুঝা যায়”।
“প্রাণী ও মানুষের দেহে এই গবেষণাতত্ত্ব কিভাবে প্রভাব ফেলে তা বের করতে এখন আরো অনুসন্ধান চালাতে হবে।”
‘ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটন’ এর শিক্ষক ড. গ্রাহাম বার্জ বিবিসি’কে বলেন, বিশ বছর ধরে করা গবেষণায় দেখা গেছে, হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ, স্থূলতা, হাড়ের ক্ষয়রোগ এমন কী ক্যান্সারের মতো রোগের ক্ষেত্রে শিশুকালের পুষ্টিকর খাবারের একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব আছে । এটা এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য।
নতুন এই গবেষণা আরো একধাপ এগিয়ে দেখাচ্ছে, মাত্রাতিরিক্ত চর্বির ফলে স্নায়ুতন্ত্রও প্রভাবিত হচ্ছে। এটি নিসন্দেহে এক ধরনের অগ্রগতি।