বেইজিংয়ের বাতাসে বিষাক্ত ছোট কণার উপস্থিতি নিরাপদ মাত্রার চেয়ে ২৬ গুণেরও বেশি বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
নগরটিতে বাতাসের অবস্থা বেশিরভাগ সময়ই খারাপ থাকে। তবে বিশেষ করে শীতের সময় এমনিতেই ভারী আবহাওয়ার সঙ্গে কয়লা পোড়ানো ধোঁয়াসহ অন্যান্য দূষণ মিলে কয়েকদিন স্থায়ী ঘন ধোঁয়াশাময় আবহাওয়ার সৃষ্টি করে।
এই মৌসুমে বৃহস্পতিবারই প্রথম এই ধরনের আবহাওয়া দেখা যায়। এইদিন ভোরে বাতাসের ঘণত্ব ছিল পিএস ২.৫ এবং প্রতি কিউবিক মিটার বাতাসে দূষিত পদার্থের পরিমাণ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রামের ওপরে। এরমধ্যে ভোর ৪টার দিকে ছিল সর্বোচ্চ ৬৭১ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়া অন্য সময় এটা ৩৫০ থেকে ৫০০ মাইক্রোগ্রামের মধ্যে ছিল।
বেইজিংয়ে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতি কিউবিক মিটার বাতাসে সর্বোচ্চ ২৫ মাইক্রোগ্রাম বিষাক্ত কণার উপস্থিতি নিরাপদ বলে বিবেচনা করা হয়। অথচ বেইজিংয়ের বাতাসে তার রয়েছে প্রায় ২৬ গুণ বেশি।
চীনের বেশিরভাগ বড় নগরগুলোর বায়ু অত্যন্ত দূষিত। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশের বলি দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে বেশি মনযোগ দিচ্ছে।
বেশিভাগ কারখানায় জ্বালানি হিসেবে কয়লা ব্যবহার করা হয় এবং সেখান থেকে নির্গত ধোঁয়া দেশটির আবহাওয়া দূষণে সবচেয়ে বড় কারণ।
একটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, উত্তরপূর্বাঞ্চলের নগর হারবিনে অক্টোবরে পিএম ২.৫ ঘনত্বে প্রতি কিউবিক মিটার বাতাসে দূষণের পরিমাণ ১০০০ মাইক্রোগ্রামের ওপরে ছিল। শীতে যেটা আরো বেড়ে যাওয়ার কথা।
তবে সম্প্রতি চীন বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নিয়মের কড়াকড়ি করেছে এবং এ বিষয়ে কাজ করার জন্য তহবিল বাড়িয়েছে।
এদিকে বেইজিংয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবারও আবহাওয়ার ধোঁয়াশাময থাকবে।