বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আইসন সূর্যের কাছে যাওয়ার পর এটিকে আর তার উজ্জ্বল স্বরূপ নিয়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়নি।
ফলে, শক্তিশালী নক্ষত্র সূর্যের কাছে গিয়ে এর তীব্র তেজের কাছে খণ্ড-বিখন্ড ও নিষ্প্রভ হয়ে শতাব্দীর সেরা এ ধূমকেতুটি মরে গেছে বলেই জানান বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা টুইটারে জানায়, পরিস্থিতি দেখে আইসন আর নেই বলেই ধারণা করা হচ্ছে৷ কারণ, টেলিস্কোপে সূর্যের পাশে বিশালাকার বরফ ও ধুলোর জায়গায় কেবল একটি ক্ষীণ স্রোতরেখাই চোখে পড়েছে।
কিন্তু এরপর সদ্য কয়েকটি ছবিতে ঝলমলে একটি বস্তু দেখা গেছে, যেটি ওই ধূমকেতুরই ক্ষুদ্র কণা হয়ে থাকতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
আর এতেই আইসন টিকে থাকার ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন জ্যোতির্বিদরা।তবে আগামী কয়েকঘন্টা বা কয়েকদিনে যে কোনো কিছুই হতে পারে বলেও তারা সতর্ক করেছেন।
যেমন: আইসনের এই কণা ধীরে ধীরে হয়ে উঠতে পারে আরো উজ্জ্বল। আবার তা নিষ্প্রভ হতে হতে মিলিয়েও যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সৌর পদার্থবিদরা ধূমকেতু আইসনের গতিবিধি নজরে রেখে আসছিলেন এক বছর ধরে৷ সাম্প্রতিক কালে দেখা যাওয়া বিভিন্ন উজ্জ্বল ধূমকেতুর মধ্যে আইসন অন্যতম৷
অন্যান্য ধূমকেতুর তুলনায় বেশ বড় এবং শ’ শ’ কোটি বছরের পুরোনো হওয়ায় এটিকে নিয়ে আশায় ছিলেন বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু সূর্যের কাছে গেলে আইসন বাঁচবে কিনা তা নিয়ে ছিল সংশয়। এর আগে অন্য কোনো ধূমকেতু সূর্যের এত বেশি কাছে যায়নি।