দুইশ দেশের অংশগ্রহণে দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই সম্মেলনের শেষ দিন ছিল শনিবার।
গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার প্রশ্নে সম্মেলনে তীব্র মতানৈক্য দেখা দেয়। এতে কোনো চুক্তি ছাড়াই সম্মেলন শেষ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
৩০ ঘন্টা ধরে চলা অচলাবস্থার পর ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে নতুন একটি জলবায়ু চুক্তির বিষয়ে একমত হয় তারা। খসড়া প্রস্তাবের ভাষা নিয়ে শেষ মুহূর্তের সমঝোতায় এটি সম্ভব হয়।
ওই প্রস্তাবে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্যারিস সম্মেলনে একটি আইনগত বাধ্যবাধকতা তৈরি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষয়ক্ষতি পুরণে সহায়তা দিতেও রাজি হয়েছে ধনী দেশগুলো। তবে এ বিষয়ে আর্থিক সহায়তার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ না থাকায় পরিবেশবাদী গোষ্ঠিগুলোর জোট ‘গ্রিন গ্রুপ’ ক্ষিপ্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে গোষ্ঠিটি।
প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হাইয়ান ফিলিপাইনে আঘাত হানার প্রেক্ষাপটে শুরু হওয়া সম্মেলনে জলবায়ুর লক্ষ্যণীয় ক্ষিপ্ত আচরণের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ণের জেরে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে যে অর্থনৈতিক সহায়তা দরকার, বৈশ্বিক উষ্ণায়ণের জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলো থেকে সেই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার প্রতিশ্রুতির পথে অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে বলে করা হচ্ছে। এই প্রতশ্রুতির বিষয়ে টালবাহনা করছিল উন্নত বিশ্বের দেশগুলো।
তবে সমস্যা সমাধানে শুধু উন্নত বিশ্বের দেশগুলোকেই নয়, বিশ্বের সব দেশকেই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে বলে সম্মেলনের উপসংহারে বলা হয়।
এবারের জলবায়ু সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত ও ধনী দেশগুলোসহ আচরণসহ ভারত ও চীনের মতো অর্থনৈতিকভাবে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠা দেশগুলোর আচরণ নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয়।