জাতিসংঘে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহের আলোচনা চলার মাঝে এ দাবি জানানো হল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
১৪ টি ত্রাণ সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি ডিইসি বলছে, ভবিষ্যতে মানুষ চরম আবহাওয়ার কি ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে তারই চিত্র চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেছে টাইফুন হাইয়ান।
আর সেকারণেই ওয়ারশ’র বৈঠকে কার্বন নির্গমণ দ্রুত হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানো উচিত।
ওয়ারশ’তে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আশু ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে এরই মধ্যে বিক্ষোভ করেছে মানুষ।
কিন্তু আলোচকরা বলছেন, ২০১৫ সালের আগে বিশ্ব নেতারা চুক্তিতে পৌঁছার আশা ক্ষীণ। ফলে আশু কোনো ব্যবস্থার সম্ভাবনা নেই।
ব্রিটিশ ত্রাণ সংস্থাগুলো যুক্তি দেখিয়ে বলছে, টাইফুন হাইয়ানের মতো আবহাওয়ার ভয়ঙ্কর রূপ জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাবের হুমকিকেই সামনে নিয়ে আসে।
ফিলিপাইন ২০১২ সালেও চরম আবহাওয়ার ক্ষতির মুখে পড়েছিল। দুযোর্গপূর্ন আবহাওয়ার ক্ষয়-ক্ষতির দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছিল দেশটি।
এ বছর টাইফুন হাইয়ান আবারো তাণ্ডব ঘটিয়েছে ফিলিপাইনে। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ।
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আশু ব্যবস্থা নিতে আলোচকদের যারা এখনো গড়িমসি করছেন কিংবা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন- আবহওয়ার ওই ভয়াবহ রূপ দেখে তাদের সজাগ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অক্সফামের কর্মকর্তা ম্যাক্স লসন।