অস্ট্রেলিয়ার বৃষ্টিবনের নতুন তিনপ্রাণী

অস্ট্রেলিয়ার একটি বৃষ্টিবনের ‘হারানো বিশ্বে’ নতুন প্রজাতির তিনটি প্রাণী আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। লাখ লাখ বছর ধরে গ্রানাইট বোল্ডারের স্তুপের ঘেরের মধ্যে এসব প্রাণী নিরাপদে টিকে আছে।

>>রয়টার্স
Published : 29 Oct 2013, 09:31 AM
Updated : 29 Oct 2013, 09:31 AM

স্থানটি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের কেপ মেলভিল জাতীয় উদ্যানের অনন্য পাথুরে বৃষ্টিবনের মধ্যে অবস্থিত। এলাকাটি অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর ব্রিসবেন থেকে ১৫শ’ কিলোমিটার উত্তরে।

নতুন এই তিনটি প্রাণীর একটি হলো পাতা-লেজি গ্যাকো (এক ধরনের গিরগিটি), আরেকটি সোনালি স্কিন্ক (আরেক ধরনের গিরগিটি) ও অপরটি বোল্ডারে চড়ে বেড়ানো ব্যাঙ।

অস্ট্রেলিয়ার জেমস কুক বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে চালানো অভিযানে দৃষ্টির আড়ালে থেকে যাওয়া এসব প্রাণীর সন্ধান পাওয়া যায়।

অভিযানের নেতা কনরার্ড হোসকিন বলেন, “তারা দেখতে পুরোপুরি বিলুপ্ত প্রাণীদের মতো, তাই দেখলেই মনে হয় ‘ওহ, এটি একটি নতুন প্রাণী’।”

মেলভিল পর্বতমালার এই জাতীয় উদ্যানটি অত্যন্ত দূর্গম। এবড়ো খেবড়ো, খাড়া পাহাড়ি এলাকা, প্রায় গাড়ি ও বাড়ির সমান লাখ লাখ গ্রানাইট বোল্ডারে ছাওয়া এই এলাকার অভ্যন্তরে পৌঁছানো প্রায় অসাধ্য। বোল্ডারে ছাওয়া এই পার্বত্য উপত্যকায় আছে বৃষ্টিবন।

দুর্ভেদ্য এই পাথুরে বৃষ্টিবনে তিনটি প্রাণীই দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে ছিল।

পাতা-লেজি গ্যাকোটি ২০ সেন্টিমিটার (৮ ইঞ্চি) লম্বা, এটি নিশাচর। রাতে পাথুরে প্রকৃতি ও স্থানীয় গাছপালায় ঘুরে ঘুরে শিকার ধরে।

স্কিন্কটি অবশ্য দিনের বেলায়ই বেশি সক্রিয় থাকে। শ্যাওলায় ছাওয়া বোল্ডারে ঘুরে ঘুরে পোকমাকড় ধরে খায়।

গায়ে লাল ছোপওয়ালা বোল্ডার ব্যাঙগুলো শুষ্ক মওসুমে বোল্ডার ছাওয়া পার্বত্য ঢালের গভীর খাদগুলোর ঠাণ্ডা, কুয়াশা ঢাকা পানিতে বাস করে। শুধু গ্রীষ্মকালের বর্ষার সময় এগুলো বের হয়ে আসে। এ সময় পাথুরে ভূমিতে চলাফেরা করে কীটপতঙ্গ শিকার করে।

এ সময় বৃষ্টিতে ডিম পাড়ার কাজটিও সারে এসব ব্যাঙ।