ফুকুশিমায় তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা দু’বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

জাপানে দুর্ঘটনাকবলিত ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক চুল্লির কাছের সাগরের পানিতে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা এ সপ্তাহে দু’বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।

>>রয়টার্স
Published : 10 Oct 2013, 01:47 PM
Updated : 10 Oct 2013, 01:47 PM

ফুকুশিমা কেন্দ্র পরিচালনাকারী টোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) বৃহস্পতিবার একথা জানায়।

বুধবার উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় দূষণের শিকার হয়েছে ফুকুশিমা কেন্দ্রের দুই কর্মী।এদিন তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা এর আগের দিনের চেয়ে ১৩ গুণ বেড়ে যায়। ২০১১ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ মাত্রার তেজস্ক্রিয়দূষণ।

টেপকো এ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে আসলেও বুধবার ফুকুশিমা কেন্দ্রের এক কর্মীর ভুলের কারণে ৭ টন উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় পানি ছড়িয়ে পড়ে।

২ নং পরমাণু চুল্লির বাইরে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বুধবার ১৩ গুণেরও বেশি বেড়ে যায়। ওই চুল্লিভবনের কাছে নির্মাণকাজের কারণে এমনটি ঘটেছে বলে জানায় টেপকো।

তবে ফুকুশিমা কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকা ছাড়া প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ঘটেনি বলে জানিয়েছে তারা।

২০১১ সালের মার্চে জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনমির পর দুর্ঘটনাকবলিত ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্টোরেজ ট্যাংকে ফাটল দেখা দেয়াসহ বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে বরাবরই।

তেজস্ক্রিয়দূষিত পানি ধরে রাখতে এ কেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছে শ’ শ’ ট্যাংক। এগুলোর কয়েকটিতেই ফাটল খুঁজে পাওয়া গেছে।

এ সমস্ত ফাটল দিয়ে বেরিয়ে আসছে তেজস্ক্রিয় দূষিত পানি। যে কোনো মাত্রার তেজস্ক্রিয় দূষণেই কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা না নিলে কয়েক ঘন্টার মধ্যে মারা পড়তে পারে মানুষ।