ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্রোহী এক নেতা আটক হয়েছেন, যিনি বাংলাদেশে পালিয়ে ছিলেন বলে দাবি করেছে ভারতীয় কর্মকর্তারা।
আটক নেতা রনজিৎ দেববর্মা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন অল ত্রিপুরা টাইগার্স ফোর্সের (এটিটিএফ) প্রধান।
বুধবার তাকে আগরতলার একটি আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে একদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
ভারতের কর্মকর্তারা বলছেন, আটকের পর বাংলাদেশের বাহিনী রনজিৎকে ত্রিপুরার হাতে তুলে দিয়েছে।
এর আগেও গত কয়েক বছরে বিদ্রোহী কয়েকজন নেতাকে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তারের পর ভারতের হাতে তুলে দেয় বলে দেশটির কর্মকর্তারা দাবি করেন।
তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এভাবে গ্রেপ্তারের পর হস্তান্তরের কথা বরাবরই অস্বীকার করা হচ্ছে।
ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দাবি, রনজিৎ গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশে আটক হন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর গত সপ্তাহে তাকে সীমান্ত পথে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়া হয়।
রনজিতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ত্রিপুরা রাজ্যে অপহরণ ও হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ওই অঞ্চলে বাংলাভাষীরা ছিল তার লক্ষ্যবস্তু।
১৯৯০ সালে এটিটিএফ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ত্রিপুরের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন রনজিৎ।
বিচ্ছিন্নতাবাদী এই শীর্ষ নেতাকে ঠিক কখন হাতে পাওয়া গেছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ত্রিপুরা সরকার।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সঙ্গে মানিক সরকারের নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকারের সুসম্পর্ক রয়েছে।
বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় আস্তানা গেঁড়ে ত্রিপুরার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তৎপরতা চালাচ্ছে অভিযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর উলফা নেতা অরবিন্দ রাজখোয়া, শশধর চৌধুরী, চিত্রবন হাজারিকা, রাজু বড়ুয়া, মণিপুরের বিদ্রোহী নেতা রাজকুমার মেঘেন এবং বোড়োল্যান্ডের বিদ্রোহী নেতা রঞ্জন দায়মারিকে গ্রেপ্তারের পর ভারতের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী।
এর মধ্যে উলফা তাদের নেতাদের মুক্তির জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে সমঝতায় আসার একটি পদক্ষেপ নিলেও মেঘেন ও দায়মারি এখনো কারাগারে রয়েছেন।