ইরাক ছাড়লো যুক্তরাষ্ট্রের শেষ সেনাবহর

ইরাকে অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করার নয় বছর পর দেশটি থেকে প্রত্যাহার হলো যুক্তরাষ্ট্রের শেষ সেনাবহর।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2011, 03:26 AM
Updated : 18 Dec 2011, 03:26 AM
কে-ক্রসিং, কুয়েত, ডিসেম্বর ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- ইরাকে অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে
ক্ষমতাচ্যুত করার নয় বছর পর দেশটি থেকে প্রত্যাহার হলো যুক্তরাষ্ট্রের শেষ সেনাবহর।
রোববার সকালে শেষ মার্কিন সেনা বহর ইরাক ছেড়ে কুয়েতে প্রবেশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন।
নয় বছর আগে রাজধানী বাগদাদে মিসাইল হামলার মাধ্যমে সাদ্দাম শাসিত ইরাকে অভিযান শুরু করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। এ সময়ের মধ্যে মার্কিন বাহিনী ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে প্রতাপশালী একনায়ক সাদ্দাম হোসেনকে। পরবর্তীতে তাকে আটক করে ‘বিচারের’ মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। শেষ হয় ইরাকের একনায়ক শাসনপর্ব।
কিন্তু নয় বছর পরে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক ইরাক পেছনে রেখে যাচ্ছে যার গণতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ ও ভঙ্গুর। দেশটি এখন বিদ্রোহী হামলায় জর্জর, সা¤প্রদায়িক হানহানিতে মুমূর্ষ। মধ্যপ্রাচ্যের এক সময়ের আঞ্চলিক শক্তি ইরাক এখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজে ফিরছে আরব বিশ্বে কেমন হবে তার অবস্থান।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার শেষ করার এক দিন আগে ইরাকে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো।
গত সাত বছর ধরে বিভিন্ন ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল ন্যাটো। শনিবার ন্যাটো পরিচালিত ওই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
ন্যাটো গত সোমবার জানিয়েছিলো, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অব্যহত রাখা নিয়ে ইরাকি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় তারা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বন্ধ করে দেবে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষ করা উপলক্ষ্যে শনিবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিদায়ী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির পরিচালক ন্যাটোর কমান্ডার লেফটেন্ট্যান্ট জেনারেল রবার্ট ক্যাসলেন বলেন, “আমরা স্বার্বভৌম ইরাকের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করি এবং ইরাক তার নিজের সিদ্ধান্তে পথ চলতে শুরু করছে এ বিষয়টিকে আমরা সালাম জানাই।”
প্রশিক্ষক হিসেবে ন্যাটোর এক হাজার সেনা সদস্যের ইরাকে থেকে যাওয়ার কথা হচ্ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনুযায়ী তাদের ‘বিচার থেকে অব্যহতি’ দেওয়ার আইনি সুরক্ষা দিতে রাজি হয়নি ইরাকি সরকার। তাই এ বিষয়ে কোনো সমঝোতাও হয়নি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এবি/এএমটি/১৪৩৯ ঘ.