বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য সফরে রওনা হওয়ার আগে নেটো সম্মেলনে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগে যুক্তরাজ্য পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পরিকল্পনা নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই ১৩ জুলাই যুক্তরাজ্য সফর করবেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরো মজবুত হবে এবং ভবিষ্যতে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।
এক বিবৃতিতে মে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক আছে। তাদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র আর নেই। আর আগামীতেও তাদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র কেউ হবে না।”
তবে ট্রাম্পের সফরের বিরোধীরা যুক্তরাজ্যে তার সফরকে ঘিরে বড় ধরনের বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে। এ বিক্ষোভ সামাল দিতে যুক্তরাজ্যে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
যুক্তরাজ্যে দুইদিনের সফরে ট্রাম্প বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রধনমন্ত্রী মে’র সঙ্গে আলোচনা করা ছাড়াও রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সময় কাটাবেন।
ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাজ্যের মানুষ আমাকে অনেক পছন্দ করে বলেই মনে হয়। আমি মনে করি অভিবাসন প্রশ্নে তারা আমার সঙ্গে একমত। অভিবাসন নিয়ে বিশ্বজুড়ে কি ঘটছে দেখুন… আমার মনে হয় এ কারণেই ব্রেক্সিট ঘটল।”
“তারা ভাঙনের পক্ষে ভোট দিল। সুতরাং, আমি মনে করি তারা এটিই করবে। ব্রেক্সিট ব্রেক্সিটই।”
মে’র সঙ্গে বৈঠককালে ট্রাম্প কেবল বাণিজ্য এবং নিরাপত্তাই নয় বরং ব্রেক্সিট এবং মধ্যপ্রাচ্য নিয়েও আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট।