ইরান চুক্তি আপাতত বহাল রাখছেন ট্রাম্প

ছয়বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিটি আপাতত বহাল রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এটিই শেষবার বলে তিনি সতর্ক করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2018, 07:12 PM
Updated : 12 Jan 2018, 08:31 PM

হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বলেছেন, চুক্তিটি পরিবর্তন না হলে ট্রাম্প এটি বাতিল করবেন। কিন্তু তার আগে তিনি মাত্র আর একবারের জন্যই এটি অনুমোদন করবেন।

এতে করে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইরান কিছু সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা থেকেও ছাড় পাবে| নিষেধাজ্ঞার যে ছাড়পত্রে ট্রাম্প সই করবেন তাতে ইরানে আরো ১২০ দিনের জন্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞা স্থগিত থাকবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন,  ট্রাম্প চান মার্কিন কংগ্রেস এবং ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো ১২০ দিনের মধ্যে চুক্তিটি আরো পাকাপোক্ত করুক। তা না হলে শেষ পর্যন্ত এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাবে।

ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির ওপর স্থায়ীভাবে কড়াকড়ি আরোপ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর সঙ্গে এ পাকা চুক্তি চাইছে হোয়াইট হাউজ। বর্তমান চুক্তিটিতে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া আছে, যা শেষ হবে ২০২৫ সালে।

২০১৫ সালে বিশ্বের শক্তিধর ছয় দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের সঙ্গে ওই চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান। এর আওতায় ইরান তাদের পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

বিভিন্ন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে শিথিল করা হবে- এ শর্তেই ইরান তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি অনেকাংশে কমাতে রাজি হয়।

ফলে ইরানের ওপর দশকের পর দশক ধরে আরোপ থাকা পরমাণু-সংশ্লিষ্ট মার্কিন নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রতি ১২০ দিন পরপর ওই নিষেধাজ্ঞার ছাড়পত্র সই করতে বাধ্য।

কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই চুক্তিটির সমালোচনা করে আসছেন। তবে ইউরোপের শক্তিধর দেশগুলো চুক্তিটিকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মত দিচ্ছে।

ট্রাম্পকে চুক্তিটি বাতিল না করার আহ্বান জানিয়ে দেশগুলো বলেছে, ওই চুক্তির কারণেই বিশ্ব নিরাপদ আছে।

ইরানের ওপর সন্ত্রাস, মানবাধিকার এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের মত ক্ষেত্রগুলোতে আলাদাভাবে এখনো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের দিকটিতেও নজর দেওয়া হোক সেটিও চান ট্রাম্প।