ব্যক্তিগত ইমেইল: তথ্য চেয়ে হোয়াইট হাউসকে কংগ্রেসের চিঠি

সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করেছেন এমন উপদেষ্টাদের সম্বন্ধে তথ্য চেয়ে হোয়াইট হাউসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ‍যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের একটি কমিটি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2017, 09:46 AM
Updated : 26 Sept 2017, 01:49 PM

ট্রাম্পজামাতা জারেড কুশনার হোয়াইট হাউসের কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করেছেন স্বীকার করার পর কংগ্রেসের ওভারসাইট অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিফর্ম কমিটি চিঠিটি পাঠিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

রিপাবলিকান সাংসদ ট্রে গোউডি এবং ডেমোক্রেট সাংসদ এলিজা কামিংসের স্বাক্ষর করা চিঠিতে এই সংক্রান্ত তথ্য দিতে হোয়াইট হাউসকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়ছে।

কুশনার ছাড়াও হোয়াইট হাউসের সাবেক চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিভ ব্যানন, সাবেক চিফ অব স্টাফ রেইনস প্রিবাস, উপদেষ্টা গ্যারি ডি কোন ও স্টিফেন মিলার এমন কাজ করেছেন বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মাসেই তার মেয়ে ও অবৈতনিক উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেছে নিউজউইক ম্যাগাজিন।

কংগ্রেস কমিটির চিঠিতে কুশনারকে তার সব ইমেইল সংরক্ষণ করে রাখারও অনুরোধ করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের কাউন্সেল ডোনাল্ড ম্যাকগানের কাছে লেখা চিঠিতে বলা হয়, “আপনি কিংবা হোয়াইট হাউসে আছেন এমন নন-ক্যারিয়ার কোনো কর্মকর্তা কি আনুষ্ঠানিক কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করেছেন?

“করে থাকলে সেসব ব্যক্তি ও তাদের ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টগুলো চিহ্নিত করুন এবং আইন বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দাখিল করুন।”

রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জারেড কুশনার হোয়াইট হাউজের কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করেছেন বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বার্তা চালাচালির পাশাপাশি মিডিয়া কভারেজ সম্পর্কিত চিঠিপত্র, অনুষ্ঠান পরিকল্পনা এবং অন্যান্য কাজেও হোয়াইট হাউসের এই জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করেছেন।

পরে ট্রাম্পজামাতা নিজেই ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করে ‘একশর কম’ বার্তা পাঠানোর কথা স্বীকার করেছেন।

কুশনারের আইনজীবীর দাবি, তার মক্কেল সরকারি তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ আইন মেনে চলেছেন এবং ব্যক্তিগত ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করে যে সব ইমেইল তিনি পাঠিয়েছেন সেগুলোর সবই তিনি অফিসের ইমেইল একাউন্টে ‘ফরোয়ার্ড’ করেছেন।

গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারাভিয়ানের সময় ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করার বিষয়টিকে বড় ধরনের ইস্যু বানিয়েছিলেন।

হিলারিকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রিপাবলিকান শিবিরও। হিলারির সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল তারা।

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন হিলারি ক্লিনটন। ওই সময় তিনি ব্যক্তিগত ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করে সরকারি কাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে।

সে অভিযোগ নিয়ে এফবিআই তদন্তও করে, যদিও পরে হিলারির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ না আনার সিদ্ধান্ত হয়।

বিবিসি বলছে, হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহারে বাধা নেই, যদি তারা পেশাদারি বার্তাগুলো অফিসের ইমেইলে ‘ফরোয়ার্ড’ করে থাকেন।

কুশনার কিংবা হোয়াইট হাউসের সাবেক-বর্তমান কোনো উপদেষ্টা ক্লাসিফায়েড ইমেইল পাঠাতে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে তারা।